সূচিপত্র / অধ্যায় 1: শক্তি-তন্তু তত্ত্ব
I. কী (কার্যগত সংজ্ঞা ও সংক্ষিপ্ত নাম)
সাধারণীকৃত অস্থিতিশীল কণা (GUP) বলতে সেই সব স্থানীয় বিচলনকে বোঝায় যা শক্তির সাগরে অল্পক্ষণে গড়ে ওঠে, আশপাশের মাধ্যমকে টেনে ধরে, তারপর ভেঙে পড়ে বা লুপ্ত হয়ে যায়। এ ধারণা দুটি গোষ্ঠীকে একত্র করে—
- সংকীর্ণ অর্থের অস্থিতিশীল কণা: ইতিমধ্যে “কণা” রূপে স্থিত; নির্দিষ্ট ভর, কৌণিক সংখ্যা ও ক্ষয়পথ আছে; আয়ু সীমিত; রেখা-বর্ণালির অবস্থান ও প্রস্থ দেখে শনাক্ত করা যায়।
- স্বল্পায়ু সুতারূপ অবস্থা (অস্থিরকৃত): শক্তির সাগরে স্বল্পসময়ে গড়া শৃঙ্খলাবদ্ধ স্থানীয় বিচলন—যেমন সুতার গুচ্ছ, ঘূর্ণি-বেল্ট, ভাঁজ, পাতলা তরঙ্গ, সর্বদিকীয় ক্ষীণ-বিক্ষেপের গুচ্ছ—যা আশপাশকে টেনে কষে; শর্ত উঠে গেলে দৈব তরঙ্গগুচ্ছ দিয়ে ফাঁক ভরে তা সাগরে মিশে যায়।
রীতি: যদি “সংকীর্ণ অর্থ” আলাদা করে না বলা হয়, অস্থিতিশীল কণা বলতে এই ধারায় উল্লিখিত দুই শ্রেণিই বোঝাবে (স্বল্পায়ু সুতারূপ ও সংকীর্ণ অর্থের অস্থিতিশীল কণা)। একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে—সুতারূপ ≠ কণা; কণা হল সেই সুতারূপ যা দোরগোড়া/বন্ধ-লুপ/স্বল্প-ক্ষয় জানালায় স্থিত হয়ে কণা-পদবী পায়।
II. উৎস কোথায় (উৎপত্তি ও প্রেক্ষাপট)
অস্থিতিশীল কণা প্রায় সর্বত্রই থাকে; স্বল্পায়ু ও ক্ষীণ প্রশস্ততার কারণে এককভাবে ধরা পড়া কঠিন।
- সূক্ষ্মস্তর ও স্বাভাবিক পরিবেশ: তাপীয় দোলন, প্লাজমায় ক্ষুদ্র-পর্যায়ের পুনঃসংযোগ, মহাজাগতিক রশ্মি–গ্যাসের স্থানীয় সংঘর্ষ, ধূলি–গ্যাস কাঁচিরূপ কেলেৎ-এ হঠাৎ ঘূর্ণি ইত্যাদি।
- জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ও “টান-ঝোঁকা” পরিবেশ: যুগ্ম বস্তুর মিশে যাওয়া ও জোয়ারি পুনর্বিন্যাস, ধাক্কা ও কাঁচি-স্তর, জেট ও বহির্মুখ প্রবাহ, ডিস্ক–বার–রিং মিলন অঞ্চলে জমাট, তারাগঠনের শৃঙ্খল প্রজ্বলন, কৃষ্ণবিবরের নিকট উচ্চ-টান অঞ্চল।
- পরীক্ষা ও প্রকৌশল দৃশ্য: স্রাব/আর্ক, শক-টিউব, পাতলা ঝিল্লি বা গহ্বরে তাৎক্ষণিক শক্তি-ফেরত প্রবাহ—এসবেই প্রায়শই স্বল্পায়ু সুতারূপ জন্মায়।
- নিয়ন্ত্রণযোগ্য নক: সীমানা ও জ্যামিতি, বাহ্যিক ক্ষেত্রের তীব্রতা ও বর্ণালি, চালনার ধরন, মাধ্যমের টান ও টানের ঢাল, পথপ্রকৃতি ইত্যাদি।
III. কেন একে “সার্বজনীন” বলা হয়
টান কম হলেও স্থানজুড়ে নিরন্তর “চেষ্টা–ভেঙে যাওয়া” চলতেই থাকে; আয়তন-অনুপাত করলে মোট পরিমাণ তাৎপর্যপূর্ণ।
- স্থানীয় দৃষ্টিভঙ্গি: অধিকাংশ চেষ্টা জন্মস্থানেই নিবে যায়; পরিবেশ দ্রুত শোষে ফেলে বা সাগরে মিশিয়ে দেয়।
- সমষ্টিগত দৃষ্টিভঙ্গি: এই সব চেষ্টার পরিসংখ্যানিক প্রভাব বৃহৎ স্কেলে ছাপ রেখে যায় (দেখুন ধারা 1.11 ও 1.12) এবং সীমানা/বাহ্যিক ক্ষেত্রের সমন্বয়ে বাড়ে–কমে (সাম্য-সঙ্গতি জানালা ↔ অসঙ্গতি)।
IV. দেখতে কেমন (রূপ-রূপান্তরের বৈচিত্র্য)
অস্থিতিশীল কণার একটিমাত্র জ্যামিতিক ছাঁদ নেই।
- বন্ধ-বলয়, গিঁট-বাঁধা ভাঁজ, পাতলা তরঙ্গ-উত্থান, ঘূর্ণি-বেল্ট, লম্বা/দানাদার গুচ্ছ, সর্বদিকীয় ক্ষীণ-বিক্ষেপ গুচ্ছ—সবই দেখা যায়।
- মূল কথা “কার মতো”—তা নয়; প্রশ্ন হল সে কি শক্তির সাগরকে টেনে কষেছে, এবং ভেঙে পড়ার সময় সেই টানকে দৈব তরঙ্গগুচ্ছে ছড়িয়ে ফেরত দিয়েছে কি না (ফাঁকভরা/সাগরে মিশে যাওয়া)।
V. এক মুদ্রার দুই পিঠ: দুইটি দৃশ্যমান প্রভাব
অস্থিতিশীল কণা দুই রূপে ফুটে ওঠে—
- পরিসংখ্যানিক টান-মহাকর্ষ (STG): টিকে থাকার সময় বারবার টানার ফলে আশপাশ পরিসংখ্যানিক অর্থে “কষা” হয়; ফলত কার্যত ঢাল বাড়ে। কক্ষপথ, ঘূর্ণন-বক্ররেখা, মহাকর্ষীয় লেন্সিং ও সময়-মাপায় অতিরিক্ত আকর্ষণ হিসেবে ধরা পড়ে। পরবর্তী আলোচনায় পরিসংখ্যানিক টান-মহাকর্ষ নামই ব্যবহৃত হবে।
- টানের স্থানীয় শব্দ (TBN): ভেঙে পড়া/লুপ্তির সময় যেটি দৈব বিচলন হিসেবে ছড়িয়ে ফেরত আসে, সেটিই স্থানীয়ভাবে পাঠযোগ্য রূপ। বিকিরণ আবশ্যক নয়—নিকটক্ষেত্র/অ-বিকিরণ প্রকৃতির নিজস্ব শব্দ (বল, সঞ্চালন, পর্যায়, প্রতিসরণাঙ্ক, চাপ, চুম্বকায়নপ্রবণতা—ইত্যাদি পাঠ্যমানের দৈব ওঠানামা) হতে পারে; আবার স্বচ্ছ-জানালা ও অনুকূল জ্যামিতিতে দূরক্ষেত্রে প্রশস্ত-ব্যান্ডের অবিচ্ছিন্ন বর্ণালিও হতে পারে। পরবর্তী অংশে একে টানের স্থানীয় শব্দ বলা হবে।
তিনটি স্বচ্ছ পরীক্ষা
- শব্দ আগে, বল পরে: ভেঙে পড়া/ফাঁকভরার দৈব বিচলন স্থানীয় ও ক্ষণস্থায়ী—তাই আগে দেখা যায়; অতিরিক্ত আকর্ষণ হল ধীর-চর, যা টিকে থাকার সময়–স্থানে সঞ্চয়ে স্পষ্ট হয়। ফলে একই সময়–অবকাশে সাধারণত টানের স্থানীয় শব্দ আগে বাড়ে, পরিসংখ্যানিক টান-মহাকর্ষ পরে গভীর হয়।
- অবকাশে সহদিকতা: টানা ও ছড়ানো—দু’টিই একই জ্যামিতি/বাহ্যিক ক্ষেত্র/সীমানার বিধিনিষেধ মানে (যেমন কাঁচি-অক্ষ, সম্মিলন-দিক, বহির্গমনের অক্ষ)। তাই যে দিকে শব্দ উজ্জ্বল হয় সেই দিকেই ঢাল গভীর হয়: যে পাশে ধারাবাহিক টান সহজ, সেখানেই শব্দ–বল সহদিক দেখা যায়।
- পথ উল্টো ঘোরে—কেন? বাহ্যিক ক্ষেত্র বা জ্যামিতির “নক” কমালে/বন্ধ করলে ব্যবস্থা ঢিলে–ফিরতি পথ বেয়ে ফিরে আসে: নিকটক্ষেত্রের শব্দভিত্তি আগে নেমে যায় (দ্রুত সাড়াপ্রদান), সামষ্টিক ঢাল পরে সরে (ধীর প্রত্যাবর্তন)। আবার ড্রাইভ বাড়ালে পুরনো গতিপথ পুনরাবৃত্তি হয়। এ উল্টোযাত্রা কারণ–ফলের শৃঙ্খলা এবং স্মৃতিময়তার ঐক্যকে দেখায়।
VI. সংক্ষেপে
অস্থিতিশীল কণা স্বল্পায়ু সুতারূপ ও সংকীর্ণ অর্থের অস্থিতিশীল কণা—এ দুটিকে একই বর্ণনায় আনে: টিকে থাকার পর্যায় টানায় দায়ী, ফলে পরিসংখ্যানিক টান-মহাকর্ষ তৈরি হয়; ভেঙে পড়ার পর্যায় ছড়ানোয় দায়ী, যা টানের স্থানীয় শব্দ হিসেবে দৃশ্যমান। যখন শক্তি-সরবরাহ ও বিধিনিষেধ দোরগোড়া/বন্ধ-লুপ/স্বল্প-ক্ষয় জানালায় পড়ে, সুতারূপ কণাতে স্থিত হতে পারে; নচেৎ অধিকাংশই সাগরে মিলিয়ে যায় এবং শব্দ আগে–বল পরে, অবকাশে সহদিক, পথ উল্টোযাত্রাযোগ্য—এই সম্মিলিত স্বাক্ষরে পরিষ্কার, পরিপূরক ছাপ রেখে যায়।
স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)
স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.
প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/