সূচিপত্রঅধ্যায় 5: অণুপার্টিকল (মাইক্রোস্কোপিক কণিকা)

“তরঙ্গ-পুঞ্জ” হলো সীমিত মাপের এমন এক গুচ্ছ টান-ভাঁজ, যা নিজে নিজে জুটে “শক্তি-সমুদ্র”ে ছুটতে পারে। এটি “অণু-কণা”র মতো স্বয়ং-ধারণক্ষম গাঁট নয়; বরং সমুদ্রের পাশের ক্ষুদ্র খণ্ডগুলো একে অন্যকে অবস্থা হস্তান্তর করে—রিলে-দৌড়ের মতো—তাই এটি এগোয়। একটিই একত্রীকরণ নীতি কাজ করে: স্থানীয় টানের মাত্রা গতির সর্বোচ্চ মান বেধে দেয়, আর টানের ঢাল (গ্র্যাডিয়েন্ট) গতিপথ নির্ধারণ করে।


I. “তরঙ্গ-পুঞ্জ” বলতে কী বোঝাই

শক্তি-সমুদ্রকে এমন একটানা মাধ্যম ভাবুন, যা কখনও টানটান, কখনও শিথিল। কোনও আলোড়নে একটি সীমিত “এনভেলপ” ওঠে, তার মধ্যে সমলয় দোলন থাকে—এটাই তরঙ্গ-পুঞ্জ।


II. তরঙ্গ-পুঞ্জ কীভাবে ছড়ায় (ভিত্তিগত প্রক্রিয়া)


III. কেন “বোসন” আসলে তরঙ্গ-পুঞ্জ

শক্তির তন্তু তত্ত্ব (EFT)-এ বোসন আলাদা “কণাজাত” নয়; এগুলো বিভিন্ন কম্পন-ধরনের তরঙ্গ-পুঞ্জ। পার্থক্যটি “তন্তু আছে কি নেই”—এখানে নয়; বরং ভাঁজ কীভাবে ওঠে, কোথায় চলতে পারে ও কোন গঠনের সাথে সংযোজিত হয়—এতে।

  1. ফোটন: আদর্শ আনুভূমিক-শিয়ার পুঞ্জ
    • কি: পাশিমুখী ভাঁজ, যা মেরুকরণ বহন করতে পারে।
    • কত দূর যায়: “স্বচ্ছ জানালায়” অত্যন্ত দূর; টান-অসাম্য থাকলে পথনির্ভর সময়-বিলম্ব ও মেরুকরণ-ঘূর্ণন দেখা দেয়।
    • কিসের সাথে সংযোজিত: আধান-বহনকারী গঠন (যেমন ইলেকট্রনের নিকটক্ষেত্র-দিকনির্দেশ)-এর সাথে শক্ত সংযোজন; শোষিত/উদ্দীপিত/বিচ্ছুরিত হতে পারে।
    • যা দেখা যায়: ইন্টারফেরেন্স, ডিফ্র্যাকশন, মেরুকরণ; লেন্সিং ও টাইম-ডিলে-তে অবিচ্ছুরণীয় অভিন্ন উপাদান—সব রঙই সমভাবে অতিরিক্ত পথ/বিলম্ব পায়।
  2. গ্লুয়ন: “রঙ-চ্যানেল”ে বন্দি ভাঁজ
    • কি: রঙ-তন্তুর বান্ডলের ভিতর শক্তি-ঢেউয়ের চলাচল; চ্যানেল ছাড়লেই তন্তুতে ফিরে হ্যাড্রন-খন্ডে গুটিয়ে যায়।
    • কত দূর যায়: কেবল চ্যানেলের মধ্যে; তাই পরীক্ষায় “মুক্ত গ্লুয়ন” নয়, জেট ও হ্যাড্রনাইজেশন-ই ধরা পড়ে।
    • যা দেখা যায়: একদিকে সারিবদ্ধ হ্যাড্রন-বৃষ্টি; চ্যানেল-কোরের কাছে শক্তি ঘন।
  3. দুর্বল আন্তঃক্রিয়ার বাহক (W, Z): মোটা, উৎস-নিকট এনভেলপ
    • কি: ঘন, স্থানিক-স্থানীয় পুঞ্জ; এনভেলপ মোটা, সংযোজন শক্ত, আয়ু ক্ষণস্থায়ী।
    • কত দূর যায়: উৎসের কাছে কাজ সেরে দ্রুত ক্ষয়; স্বতন্ত্র উৎপাদ দ্রব্য রেখে যায়।
    • যা দেখা যায়: কোলাইডারে “স্বল্পক্ষণিক ঝলক” ও বহু-দেহ ক্ষয়-পরিসংখ্যান।
  4. হিগস: টান-স্তরের “শ্বাস-ধরনের” স্কেলার পুঞ্জ
    • কি: পুরো পৃষ্ঠ একসাথে “ফুলে-চুপসে” ওঠা।
    • ভূমিকা: সমুদ্র স্কেলার-ভাবে উত্তেজিত হতে পারে—এটি তার প্রমাণ। এখানে ভর আসে স্থিতিশীল গাঁটের স্বয়ং-ধারণ-ব্যয় ও টানের টান থেকে; হিগস “ভর বিলায়” না, বরং ওই কম্পন-ধরনের অস্তিত্ব জানায়।
    • যা দেখা যায়: একবার উদ্দীপিত হলে দ্রুত সংযোজন ছাড়ে; স্থির ক্ষয়-শাখা-অনুপাত রেখে যায়।

একত্রিত বাক্য: বোসন = তরঙ্গ-পুঞ্জ। কারও পথ-দূর (ফোটন), কারও কেবল চ্যানেল-ভিত্তিক চলা (গ্লুয়ন), কারও উৎস ছাড়তেই বিলয় (W/Z, হিগস)।


IV. স্থূল-স্তরের তরঙ্গ-পুঞ্জ: মহাকর্ষীয় তরঙ্গ (টান-ভূদৃশ্যের বিস্তৃত প্রতিধ্বনি)


V. “বল” আসে কোথা থেকে: তরঙ্গ-পুঞ্জ কণাকে কীভাবে ঠেলে/টানে


VI. নির্গমন ও শোষণ: “ম্যাচিং”-এর তিন ধরন


VII. জটিল পরিবেশে “পুনর্গঠন”


VIII. পরিচিত পরীক্ষার সাথে মিল


IX. মূলধারা ব্যাখ্যার সাথে কি বিরোধ হয়

না। মূলধারা পদার্থবিজ্ঞান “ক্ষেত্র ও কণা”র ভাষায় এসব ঘটনাকে সফলভাবে গণনা করে। আমরা একই পদার্থবিদ্যাকে গঠনগত দৃশ্যে দেখি—

যেখানে পরীক্ষা হয়েছে, দুই বর্ণনাই পর্যবেক্ষণযোগ্য ফলাফলে এক। আমাদের বাড়তি দান একটি “বস্তুরূপে দেখা যায়” এমন ছবি—কোথায় টান বেশি/কম, কেন এই রাস্তাটি মসৃণ আর অন্যটি থমকে যায়।


X. সংক্ষেপে

তরঙ্গ-পুঞ্জ হলো শক্তি-সমুদ্রের উপর দৌড়ানো টান-ভাঁজ; বোসন হলো বিভিন্ন কম্পন-ধরনের এমনই এক পরিবার; মহাকর্ষীয় তরঙ্গ হলো টান-ভূদৃশ্যের বৃহৎ-স্কেলের প্রতিধ্বনি। একটিই সহজ অথচ শক্ত নিয়ম—টান গতির ছাদ ঠিক করে, টানের ঢাল পথ ঠিক করে; ম্যাচিং সংযোজনের শক্তি ঠিক করে, আর প্রতিপ্রভাব সবাইকে সবাই দিয়ে গড়ে তোলে।


XI. চিত্র-পাঠ নির্দেশিকা

একীভূত পড়ার নিয়ম (ভ্রান্তি এড়াতে):

  1. এগুলো গতি-পথ নয়: বক্ররেখা ঐ মুহূর্তের টান-ভাঁজের স্থিতি-রূপ—কোনও কণার ট্র্যাক নয়।
  2. তীর = বিস্তারের দিক: পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট হস্তান্তরে পুরো আকৃতি সামনের দিকে সরে; পরমুহূর্তে চিত্রটি তীরের দিকে এগোয়।
  3. চ্যানেল আছে বনাম নেই:
    • গ্লুয়ন কেবল “রঙ-চ্যানেল”ে দৌড়ায় (পার্শ্বদৃশ্যে ডানদিকে খোলা ফ্যাকাসে নল; ভিতরের ঢেউ নলের চেয়ে সরু)।
    • ফোটন, W/Z, হিগস ও মহাকর্ষীয় তরঙ্গে “নল” নেই, তবু স্থানীয় গতিসীমা ও ঢালের বিধিনিষেধ মানে।

ফোটন · সরল মেরুকরণ (উল্লম্ব / সমান্তরাল)

  1. সামনাসামনি: ফিকে সমকেন্দ্রিক বলয় সমফেজ/বিম-কনট্যুর—মেরুকরণ নয়; ক্ষুদ্র সরল দাগ বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের দিক—উল্লম্ব বা সমান্তরাল।
  2. পার্শ্বদৃশ্য:
    • উল্লম্ব মেরুকরণ: গমনের দিকে প্রসারিত সাইন-রিবন; “উপরে-নিচে” দোল E-ক্ষেত্রের উল্লম্ব দোলন।
    • সমান্তরাল মেরুকরণ: দাঁড়ানো সাইন-রিবন; “বাঁ-ডান” দোল সমান্তরাল দোলন।
    • দুটোই k-এর লম্ব সমতলে; দূরক্ষেত্রে E ⟂ B ⟂ k, k বরাবর E-উপাংশ নেই।
  3. টীকা: নিকটক্ষেত্র/বন্দী মাধ্যম k বরাবর উপাংশ দেখাতে পারে—সেগুলো গাইডেড/বন্দী মোড, “পথে থাকা” ফোটন নয়। টান প্রায় সমান হলে ফোটন বহুদূর যায়; ঢাল পথ-সময় ও মেরুকরণ-ঘূর্ণন ছাপায়।

ফোটন · বৃত্তাকার মেরুকরণ (হাতত্ব/চিরালিটি)

  1. সামনাসামনি: ক্ষুদ্র সর্পিল—সমতলে ফেজ-ঘূর্ণন (বাম/ডান)।
  2. পার্শ্বদৃশ্য: হালকা হেলিক-ভাবযুক্ত রিবন এগোয়; চলাকালীন ধারাবাহিক ফেজ-ঘূর্ণনের ছাপ।
  3. টীকা: বৃত্তাকার মেরুকরণ দিশাসংবলিত/চিরাল মাধ্যমের সাথে বাছাই-সংযোজন দেখায়।

গ্লুয়ন (রঙ-চ্যানেলে বিস্তার)

  1. সামনাসামনি: উপবৃত্ত—চ্যানেলের ছেদন; ভিতরের বলয় ঐ-ক্ষণের শক্তি-দোলন।
  2. পার্শ্বদৃশ্য: ডানদিকে খোলা ফ্যাকাসে “নল”-ই চ্যানেল; ভিতরের ঢেউ নলের চেয়ে সরু—মানে “নলের ভিতরেই ছুটছে।”
  3. চ্যানেলের ভিতর: রঙ-নিয়ন্ত্রিত সমলয় পুঞ্জ বান্ডল বরাবর ছুটে।
  4. চ্যানেলের বাইরে: সমলয় ভেঙে যায়; শক্তি সমুদ্রে ফেরে, নতুন তন্তু টেনে অনুমোদিত রঙ-গঠনে বন্ধ হয়ে রঙ-নিরপেক্ষ হ্যাড্রন গড়ে।
  5. পর্যবেক্ষণ: দেখা যায় হ্যাড্রনাইজেশন/জেট—শক্তির “অবতরণ-রূপ”; মুক্ত গ্লুয়ন নয়।

W⁺ / W⁻ (উৎস-নিকট মোটা এনভেলপ)

  1. সামনাসামনি: টাইট এনভেলপ; W⁺ ও W⁻ আলাদা করতে সূক্ষ্ম বিপরীত “হাতত্ব” আভাস।
  2. পার্শ্বদৃশ্য: সমমিত “মোটা” এনভেলপ; অল্পদূর গিয়ে ক্ষয়—কার্য মূলত উৎসের কাছে।
  3. টীকা: সংযোজন শক্ত, আয়ু স্বল্প—দূর-তরঙ্গ নয়, বরং “স্থানে-স্থানে ভারী আঘাত।”

Z (উৎস-নিকট মোটা এনভেলপ, হাতত্ব নেই)

  1. সামনাসামনি: সমকেন্দ্রিক “শ্বাস-বলয়”, হাতত্ব নিরপেক্ষ।
  2. পার্শ্বদৃশ্য: W-এর মতো, চেহারায় আরও সমমিত।
  3. টীকা: কাছেই কাজ সেরে স্থিতিশীল উৎপাদে বিচ্ছিন্ন।

হিগস (“শ্বাস-ধরনের” স্কেলার পুঞ্জ)

  1. সামনাসামনি: একাধিক সমকেন্দ্রিক বলয়—মনে হবে ড্রাম-মেমব্রেন একসাথে ফুলছে।
  2. পার্শ্বদৃশ্য: চওড়া, সমমিত এনভেলপ; সামান্য এগিয়ে দ্রুত মিলিয়ে যায়।
  3. টীকা: সমুদ্র স্কেলার-উত্তেজনা বহন করতে পারে—এটাই প্রমাণ। এখানে ভর আসে স্থিতিশীল গাঁটের ব্যয় ও টানের টান থেকে; হিগস ওই স্কেলার-মোডের অস্তিত্ব-সূচক।

মহাকর্ষীয় তরঙ্গ (স্থূল টান-রেশ)

  1. সামনাসামনি: চার-চতুর্ভাগে টান-প্রসারণের বলয়—কোয়াড্রুপোল-স্বাক্ষরের ইঙ্গিত।
  2. পার্শ্বদৃশ্য: সারি-সারি “উল্লম্ব দাগ” হালকা ডানে-বাঁয়ে মোচড় খেয়ে একসাথে এগোয়।
  3. টীকা: পদার্থের সাথে সংযোজন দুর্বল—দূরে যায়; বৃহৎ গঠন পেরোতে পথ-নির্ভর অবিচ্ছুরণীয় বিলম্ব জমে।

স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)

স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.

প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/