সূচিপত্রঅধ্যায় 5: অণুপার্টিকল (মাইক্রোস্কোপিক কণিকা)

পরমাণুর কেন্দ্রক হলো স্ব-স্থিতিশীল এক নেটওয়ার্ক, যার গাঠনিক একক হলো নিউক্লিয়ন—প্রোটন ও নিউট্রন। শক্তি-সুত্র তত্ত্ব (EFT)–এর দৃষ্টিতে, প্রতিটি নিউক্লিয়ন এক একটি “স্ব-সমর্থিত বন্ধ সুত্র-গুচ্ছ”। পার্শ্ববর্তী নিউক্লিয়নগুলোর মধ্যে সংযোজন গড়ে ওঠে এমন সব টেনসরের মতো আবদ্ধ-ফিতে/করিডোর দিয়ে, যা আশপাশের “শক্তির সাগর” নিজে থেকেই সর্বনিম্ন ব্যয়ের পথে তৈরি করে। ঐ ফিতেগুলো বরাবর যে পাক/ভাঁজ-তরঙ্গ চলাচল করে, তার দৃশ্যমান প্রকাশকে আমরা “গ্লুয়নের মতো চেহারা” হিসেবে দেখি (চিত্রে হলুদে নির্দেশিত)। এই ছবি মূলধারার পদার্থবিজ্ঞানে পর্যবেক্ষিত রাশিগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ; শুধু “নিউক্লিয়ার বল অবশিষ্ট রঙ-পারস্পরিক ক্রিয়া থেকে আসে”—এই কথাটিকে দৃশ্যমান “টেনসর করিডোর” ও “রি-কানেকশন” হিসেবে বস্তুগত করে।


I. কেন্দ্রক কী (নিরপেক্ষ বর্ণনা)

সহজ উপমা: প্রতিটি নিউক্লিয়নকে “লক-গ্রুভ-ওয়ালা” একটি বোতাম ভাবুন। শক্তির সাগর কাছাকাছি থাকা দুই বোতামের মাঝে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম-পরিশ্রমের এক ফিতে “বুনে” তাদের শক্ত করে জোড়ে—এই ফিতেই টেনসর আবদ্ধ-ফিতে।


II. নিউক্লিয়ন কেন “আকর্ষিত” হয়: টেনসর আবদ্ধ-ফিতে

উপমা: দুই তীরের মাঝে নিজে থেকেই এক হালকা পথচারী সেতু খিলান তোলে; সেতুর ওপর হলুদ বিন্দুগুলো এপারে-ওপারে ছুটে চলা “যানচলাচল”।


III. “স্বল্প-দূরত্বে বিকর্ষণ—মধ্য-দূরত্বে আকর্ষণ—দূরে গেলে মিলিয়ে যাওয়া” কেন দেখা যায়

উপমা: চওড়া চুম্বক-টাইল খুব কাছে এলে ঠেলে দেয়, একটু দূরে স্থিতিশীল, আরও দূরে গেলে টান পড়ে না।


IV. শেল, ম্যাজিক নাম্বার ও জোড়া-বন্ধন

উপমা: থিয়েটারের বৃত্তাকার সারি—এক সারি ভরলেই হলটি শান্ত/দৃঢ় হয়; পাশাপাশি দু’আসনে “জোড়া” বসলে নড়াচড়াও কমে।


V. বিকৃতি, সমষ্টিগত কম্পন ও ক্লাস্টারিং

উপমা: অনেক জায়গায় টানাটানি করা ঢাকের চামড়া—পুরোটাই উঠানামা করতে পারে, আবার স্থানীয় থাপে সাড়া দেয়; দুই মিলিয়ে তার সুর।


VI. সমস্থানিক ও “স্থিতিশীলতার উপত্যকা”

উপমা: কম/বেশি খুঁটির সেতু কাঁপে। ট্রাস-রিদম ও কেবল-প্যাটার্ন মিললে তবেই সেতু স্থির।


VII. হালকা কেন্দ্রকে সংযোজনে ও ভারী কেন্দ্রকে বিভাজনে শক্তির হিসাব

উপমা: দুই ছোট জাল বেঁধে এক কার্যকর বড় জাল করা, বা অতিরিক্ত টান ধরা বড় জালকে ভেঙে দু’টি মানানসই জাল—ঠিকমতো সাজালে দু’ক্ষেত্রেই “দড়ি সাশ্রয়”।


VIII. কয়েকটি আদর্শ ও বিশেষ উদাহরণ


IX. মূলধারার ছবির সঙ্গে পাশাপাশি মিল


X. সংক্ষেপে

পরমাণুর কেন্দ্রক হলো এমন এক নেটওয়ার্ক যেখানে নিউক্লিয়ন হলো নোড এবং টেনসর আবদ্ধ-ফিতে হলো এজ। স্থিতিশীলতা, বিকৃতি, শক্তিস্তর-স্পেকট্রাম ও শক্তির উৎস—সবই পড়া যায় এই নেটওয়ার্ক থেকে: নোডের জ্যামিতি, ফিতের মোট দৈর্ঘ্য-ও-টান, আর বিচ্যুতি হলে শক্তির সাগরের রিবাউন্ড কীভাবে তাকে ফিরিয়ে আনে। এই বস্তুগত ছবি কোনো পর্যবেক্ষিত তথ্য বদলায় না; বরং সেগুলোকে আরো দৃশ্যমান “শক্তির খতিয়ান”-এ একত্র রাখে, যাতে হাইড্রোজেন থেকে ইউরেনিয়াম, সংযোজন থেকে বিভাজন—সব জায়গায় যুক্তিবোধ এক স্রোতে মেলে।


XI. চিত্র-বিবরণ (স্কিম্যাটিক; উপাদানভেদে বাস্তব কেন্দ্রক ভিন্ন)

  1. নিউক্লিয়ন আইকন
    • মোটা কালো সমকেন্দ্রিক রিং নিউক্লিয়নের স্ব-স্থিতিশীল বন্ধ গঠন বোঝায়; ভিতরের ছোট বর্গ/খণ্ড-ধনুক ফেজ-লক ও নিকট-পাটোর্চা সূচিত করে।
    • জোড়া-জোড়া ভিন্ন রিং-নকশায় প্রোটন-নিউট্রন চিহ্নিত:
      a) প্রোটন (চিত্রে লাল): “বাইরে শক্ত, ভিতরে তুলনায় দুর্বল” এমন ক্রস-সেকশনাল টেক্সচার।
      b) নিউট্রন (চিত্রে কালো): পরিপূরক ক্রস-সেকশন; ভেতর-বাহিরের দুটি ব্যান্ড যোগফলে নিট একধ্রুব বৈদ্যুতিকতা খারিজ।
  2. আন্তঃনিউক্লিয়ন আবদ্ধ-ফিতে (প্রস্থ-বেশি, অর্ধস্বচ্ছ)
    • পাশের নিউক্লিয়নগুলিকে জোড়া দেয়া চওড়া খিলান-ফিতে হলো টেনসর আবদ্ধ-ফিতে—প্রচলিত ভাষায় অবশিষ্ট শক্তিশালী পারস্পরিক ক্রিয়ার রঙ-ফ্লাক্স-টিউবের সমতুল।
    • এগুলো কোনো নতুন স্বতন্ত্র বস্তু নয়; নিউক্লিয়ন-ঘেরা ফিতেগুলোর রি-কানেকশন ও সম্প্রসারণ—নিউক্লিয়ার স্কেলে শক্তির সাগর যে সর্বনিম্ন-ব্যয়ের চ্যানেল “খুলে দেয়”।
    • ফিতে-ফিতে সংযোগে ত্রিভুজ-মধুচক্র নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে—মধ্য-দূরত্ব আকর্ষণ ও স্যাচুরেশনের জ্যামিতিক কারণ (প্রতি নিউক্লিয়ন সীমিত সংখ্যক সংযোগ ও কৌণিক বণ্টন বহন করতে পারে)।
    • হলুদ ডিম্ব (গ্লুয়ন-চেহারা): প্রতিটি ফিতে বরাবর যুগল/ধারাবাহিক চিহ্ন—চলমান গ্লুয়ন-সদৃশ প্রবাহকে বোঝায়।
  3. নিউক্লিয়ার অগভীর-বেসিন ও প্রায় সমদিকীয়তা (বাহিরের তীর-বৃত্ত)
    • বাইরের ছোট তীরের বৃত্ত সময়-গড়ে নিউক্লিয়ার অগভীর-বেসিন (ভর-সদৃশ উপস্থিতি) প্রকাশ করে।
    • নিকট-ক্ষেত্রে দিকীয় টেক্সচার স্পষ্ট; দূর-ক্ষেত্রে শক্তির সাগরের রিবাউন্ডে ক্ষেত্র মসৃণ হয়ে প্রায় গোল-সমমিত হয়ে যায়।
  4. কেন্দ্রে ফ্যাকাশে কোর-এলাকা
    একাধিক ফিতে কেন্দ্রে এসে মিলিত—সামগ্রিক দৃঢ়তা বোঝায়; এখান থেকেই শেল/ম্যাজিক আচরণের একটি উৎস, এবং সমষ্টিগত কম্পন (জায়ান্ট-রেজোন্যান্স) সহজে উদ্দীপ্ত হয়।

স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)

স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.

প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/