সূচিপত্রঅধ্যায় 3: বৃহৎমাত্রার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড

পরিভাষা সংক্রান্ত নোট
এই অংশে “নেগেটিভের উৎস—নকশার কারণ—পথে চলতে চলতে পুনর্লিখন—অতিবৃহৎ স্কেলে দিকনির্দেশ—দুই ধরনের ধ্রুবকরণ”—সবকিছুকে “সূতা–সমুদ্র–টেনসর” কাঠামোর মধ্যে একত্র করা হয়েছে। প্রাচীন মহাবিশ্বে সাধারণীকৃত অস্থিতিশীল কণা (GUP) অবিরত জন্মাত ও ভাঙত; তাদের টিকে থাকার সময়সমূহ একসাথে যোগ হয়ে পরিসংখ্যানগত টেনসোরীয় মহাকর্ষ (STG)-এর ভূভাগ গড়ে তোলে; আর তাদের ভাঙন/ধ্বংস থেকে ক্ষীণ তরঙ্গ-প্যাকেট ফিরে এসে মাধ্যমে মিশে টেনসোরীয় পটভূমি গোলমাল (TBN) সৃষ্টি করে। পরবর্তী অংশে আমরা ধারাবাহিকভাবে এই তিনটি বাংলা পূর্ণনামই ব্যবহার করব।


ভূমিকা: আমরা আসলে কী দেখছি?


I. পটভূমি এল কোথা থেকে: কেন প্রারম্ভিক টেনসোরীয় পটভূমি গোলমাল “কালো হয়ে” কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড (CMB)-এ পরিণত হলো (প্রক্রিয়া ও সময়মান)

মূল কথা আগে
প্রাচীন মহাবিশ্বের “সমুদ্র” ছিল প্রবল ঘন (দৃঢ় সংযোজন, তীব্র ছিটকানো, গড় মুক্তপথ খুবই ছোট)। “টানা–ছিটকানো” চক্রে সাধারণীকৃত অস্থিতিশীল কণা বারবার শক্তি ফিরিয়ে দিত বিস্তৃত ফ্রিকোয়েন্সি-ব্যাণ্ডের, কম-সহাবস্থানযুক্ত তরঙ্গ-প্যাকেটে—অর্থাৎ টেনসোরীয় পটভূমি গোলমাল। এই দৃঢ়-সংযোজিত “সুপ”-এ সেই প্যাকেটগুলো খুব তাড়াতাড়ি “কালো হয়ে” প্রায় নিখুঁত কৃষ্ণ-বস্তুর পটভূমি বানায়। মহাবিশ্ব স্বচ্ছ হতেই ফোটনেরা এই নেগেটিভ বহন করে আজ অবধি মুক্তভাবে চলেছে।

সারাংশ
টেনসোরীয় পটভূমি গোলমাল → ত্বরিত কালো হওয়া → একত্রীকৃত তাপমাত্রা-স্কেলের কৃষ্ণ-বস্তুসদৃশ পটভূমি—এরাই CMB-এর “প্রায় নিখুঁত কৃষ্ণ-বস্তু” ও “উচ্চ সমসত্ত্বতা” ব্যাখ্যা করে।


II. নকশা খোদাই হলো কীভাবে: সংযোজিত পর্যায়ের সঙ্কোচ–পুনরুত্থান ও সহাবস্থান-জানালা (ধ্বনিক ড্রামহেড)

  1. সঙ্কোচ–পুনরুত্থানের “শ্বাস”
    ফোটন–ব্যারিয়ন তরল মহাকর্ষীয় আকর্ষণ ও চাপজনিত প্রতিঘাতে দুলে ধ্বনিক দোল সৃষ্টি করে—যেন ড্রামের চামড়া আলতো চেপে ছেড়ে দেওয়া।
  2. সহাবস্থান-জানালা ও মানদণ্ড-দণ্ড
    সব স্কেল সমানভাবে যোগফল দেয় না। নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যেই সবচেয়ে জোরাল সম্মিলন হয়, আজকের তাপমাত্রা ও ধ্রুবকরণ শক্তি-স্পেকট্রামে নিয়মিত চূড়া–খাদের ফাঁক রেখে যায়—এটাই ধ্বনিক মানদণ্ড।
  3. ডিকাপলিং-এর স্থির-ফ্রেম
    ডিকাপলিং মুহূর্তে “কে সঙ্কোচ-চূড়ায়/পুনরুত্থান-খাদে, কত প্রশস্ত, কত তাল”—সবই একবারে ছবি তোলা হয়। বিজোড়–জোড় চূড়ার তফাৎ তরলের “বোঝা ও গতি” ধরে (ব্যারিয়ন-বোঝা সঙ্কোচ-চূড়া তুলনামূলক উঁচু করে)।
  4. পাঠের সূত্র

III. পথে “লেন্স ও কাঁচের কুয়াশা”: ভূভাগ দিক ঘোরায়, সূক্ষ্ম দাগ নরম করে, আর E থেকে B-তে রিস ফুটো হয় (পথ-পুনর্গঠন)

  1. পরিসংখ্যানগত টেনসোরীয় মহাকর্ষ: একটু বেঁকে থাকা মোটা কাচ
    অনেক ক্ষুদ্র টান একসাথে ধরে নিলে সেটা যেন মোটা, অল্প-বাঁকানো কাচ:
  1. টেনসোরীয় পটভূমি গোলমাল: বিস্তৃত ব্যাণ্ডের কাঁচের কুয়াশা
    আজকের মহাবিশ্বে অত্যন্ত দুর্বল এই গোলমাল কৃষ্ণ-বস্তু-আকার বদলায় না; তবে ক্ষুদ্র স্কেলের ধার আরও নরম করে এবং E→B-তে সামান্য বাড়তি রিস দেয়। এর তীব্রতা সক্রিয় গঠনের বিস্তারের সাথে দুর্বলভাবে সম্পর্কিত, কিন্তু প্রবল বর্ণ-বিভাজন দেখায় না।
  2. পথ-বিবর্তন (বর্ণ-নিরপেক্ষ সামগ্রিক সরে যাওয়া)
    ধীরে বিবর্তিত বিশাল টেনসোরীয় ভূভাগ পেরোতে গিয়ে “প্রবেশ–প্রস্থান” অসমতায় পুরো দৃশ্যরেখা সামগ্রিকভাবে শীতল/উষ্ণ দেখাতে পারে। প্রধান চিহ্ন বর্ণ-নিরপেক্ষতা—সব ফ্রিকোয়েন্সিতে একই চিহ্ন—যা ধুলোর মতো বর্ণ-যুক্ত পূর্বপট থেকে আলাদা করতে সাহায্য করে।
  1. পুনঃআয়নীকরণ-জনিত “পাতলা কাঁচের কুয়াশা”
    পুনঃআয়নীকরণ যুগের মুক্ত ইলেকট্রন ক্ষুদ্র স্কেলে তাপমাত্রাকে অল্প মসৃণ করে এবং বৃহৎ কোণে নতুন E-মোড গড়ে। এর অংশীদারি পরিসংখ্যানগত টেনসোরীয় মহাকর্ষ ও টেনসোরীয় পটভূমি গোলমালের সাথে মিলিয়ে হিসাব করতে হবে।

রোগনির্ণয়-তালিকা


IV. অতিবৃহৎ-স্কেল টেক্সচার ও দিকনির্দেশ: ভূভাগের “রিজ–করিডর”-এর অবশিষ্ট ছাপ


V. ধ্রুবকরণের দুই ধরন বিশ্লেষণ: মূল স্রোত E, আর B আসে বেঁকে যাওয়া ও রিস-ফাঁস থেকে

  1. E-মোড (প্রধান প্লেট)
    ডিকাপলিং-মুহূর্তে “ধ্বনিক ড্রামহেড”-এর অ্যানিসোট্রপি ছিটকানোর মাধ্যমে সরাসরি সুশৃঙ্খল ধ্রুবকরণ-নকশা হিসেবে জমে যায় এবং তাপমাত্রার ছন্দের সাথে এক-একে মেলে (তাপমাত্রা–E-পোলারাইজেশন সম্পর্কই তার সই)।
  2. B-মোড (মূলত পথেই জন্মায়)
    পরিসংখ্যানগত টেনসোরীয় মহাকর্ষ E-মোডকে বেঁকিয়ে অল্প B-মোড ফাঁস করায়; টেনসোরীয় পটভূমি গোলমালও অল্প বাড়তি রিস যোগ করে।

VI. মানচিত্র পড়ার গাইড (কার্যকর ধাপ): কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে পদার্থবিদ্যা টানা


VII. পাঠ্যপুস্তকীয় বিবরণের পাশে-পাশে: কী রাখলাম, কী নতুন যোগ হলো (পরীক্ষাযোগ্য অঙ্গীকারসহ)

  1. যা রাখা হয়েছে
  1. যা নতুন/ভিন্ন
  1. পরীক্ষাযোগ্য প্রতিশ্রুতি

VIII. “ভূভাগ/পথ” বনাম “পূর্বপট/যন্ত্র” আলাদা করা


IX. যাচাই ও আগামীর পথ (ডেটা-স্তরের “খণ্ডন বা মজবুতকরণ” তালিকা)


X. মনে রাখার সহজ উপমা: ড্রামহেড ও কাঁচের কুয়াশা-ঢাকা পাত

  1. ড্রামহেড-পর্যায়: চামড়া টানটান (টেনসোরীয় টান বেশি); তাতে জলবিন্দু ক্ষুদ্র (সাধারণীকৃত অস্থিতিশীল কণার প্রণোদিত ক্ষুদ্র বিরূপতা)। টান ও বোঝার মিথস্ক্রিয়ায় সঙ্কোচ–পুনরুত্থানের তাল বাজে।
  2. স্থিরচিত্র: ডিকাপলিং-এ “সেই সময়–সেই জায়গা”-র নকশা ছবি হয়ে জমে।
  3. কাঁচ পেরিয়ে দেখা: পরে তুমি এই নেগেটিভটিকে অল্প ঢেউ-ওঠা (পরিসংখ্যানগত টেনসোরীয় মহাকর্ষ) ও হালকা কুয়াশা-ঢাকা (টেনসোরীয় পটভূমি গোলমালের অবশিষ্ট) কাঁচের মধ্য দিয়ে দেখো:

XI. চার লাইনে সারকথা


উপসংহার


স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)

স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.

প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/