সূচিপত্রঅধ্যায় 3: বৃহৎমাত্রার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড

পদের সংজ্ঞা ও রীতি
এই অংশে শক্তি-তন্তু তত্ত্ব (EFT)-এর সুত্র–সমুদ্র–টেনসার ছবিতে “পদার্থ–প্রতিপদার্থ অসমতা”র উৎস ব্যাখ্যা করা হয়েছে: আদিম মহাবিশ্বে সাধারণীকৃত অস্থিতিশীল কণা (GUP)-র আয়ু একে অপরকে আচ্ছাদিত করে মাধ্যমকে টানতে টানতে পরিসংখ্যানিক টেনসার মধ্যাকর্ষণ (STG)-এর পটভূমি ভূ-রূপ গড়ে তোলে; এই কণাগুলি ভেঙে পড়লে বা বিনষ্ট হলে তাদের শক্তি দুর্বল তরঙ্গ-প্যাকেট আকারে মাধ্যমে ফিরে এসে টেনসার-বাহিত গোলমাল (TBN) জমিয়ে তোলে। এখান থেকে পরবর্তী অংশে তিনটি বাংলা পূর্ণ নাম—সাধারণীকৃত অস্থিতিশীল কণা, পরিসংখ্যানিক টেনসার মধ্যাকর্ষণ, এবং টেনসার-বাহিত গোলমাল—শুধু এসব পূর্ণ নামই ব্যবহার করা হবে।


I. ঘটনাবলি ও চ্যালেঞ্জ


II. চোখে দেখা মতো প্রক্রিয়া (অসমতাবস্থার জমাট-মুক্তি + টেনসার পক্ষপাত)

  1. জমাট-মুক্তি একসাথে নয়, সম্মুখরেখা এগোয়।
    উচ্চ ঘনত্ব ও উচ্চ টেনসার-চাপ থেকে প্রায়-স্বাভাবিক প্লাজমায় রূপান্তর “এক কোপে” ঘটে না; বরং টেনসার নেটওয়ার্ক বরাবর খণ্ড–ফিতা আকারে জমাট-মুক্তি সম্মুখরেখা অগ্রসর হয়। এই অঞ্চলে প্রতিক্রিয়া ও পরিবহন সাময়িকভাবে ভারসাম্য হারায়: যা আগে “আনলক” হয় বা সহজে সরে—সেটাই পদ্ধতিগত পার্থক্য রেখে যায়।
  2. তন্তুর জ্যামিতি দিক বেছে নেয়: ক্ষুদ্র কিন্তু সমমুখী উৎস-পক্ষপাত।
    টেনসারের ঢাল ও প্রাধান্যপূর্ণ অভিমুখ থাকলে, তন্তু-বদ্ধকরণ/পুনর্জোড়া/বিচ্ছিন্নতার থ্রেশহোল্ড ও গতি ঢাল-অনুবর্তী ও ঢাল-বিরুদ্ধ দিকে অভিন্ন নয়। কণার ভাষায়, কাইরালতা/অভিমুখ ও টেনসার-ঢালের দুর্বল যুগ্মতা “পদার্থ-ধরনের লুপ” ও “প্রতিপদার্থ-ধরনের লুপ”-এর নিট সৃষ্টি/টিকে থাকার সম্ভাবনাকে অতি সামান্য হলেও একই চিহ্নে পক্ষপাতিত করে।
  3. পরিবহনে পক্ষপাত: পথগুলো “একমুখী লেন”-এর মতো আচরণ করে।
    পরিসংখ্যানিক টেনসার মধ্যাকর্ষণ শক্তি ও পদার্থকে “তন্তু করিডোর” ধরে নোডে সংগঠিতভাবে পৌঁছে দেয়। সম্মুখরেখার কাছে প্রতিপদার্থ-ধরনের লুপ সহজে বন্ধ-কোর/ঘন নোডে টেনে নেওয়া হয় এবং আগে বিনষ্ট বা গ্রাসিত হয়; পদার্থ-ধরনের লুপ পাশের পথে সরে গিয়ে সম্মুখরেখা এড়িয়ে বিস্তৃত অঞ্চলে পাতলা স্তর গড়ে। ফলে “সৃষ্টি–টিকে থাকা–বহিঃপরিবহন” তিন কড়িই একই পক্ষপাতের সঙ্গে সংযুক্ত হয়।
  4. বিনষ্টন-শক্তির হিসাব: তাপাধার + পটভূমি গোলমাল।
    প্রবল বিনষ্টন উচ্চ-ঘন পরিবেশে ঘটে, যেখানে শক্তি স্থানীয়ভাবে প্রক্রিয়াজাত হয়ে পটভূমি তাপাধারে মিশে যায়; পরে এর কিছু অংশ অনিয়মিত তরঙ্গ-প্যাকেট হয়ে মাধ্যমে ফিরে টেনসার-বাহিত গোলমাল হিসেবে দীর্ঘমেয়াদে সঞ্চিত হয়—ব্রডব্যান্ড, নিম্ন-অ্যামপ্লিটিউড, সর্বব্যাপী। তাই আজ আমরা দেরি-সময়ের জাঁকজমকপূর্ণ সীমানা-বিনষ্টন দেখি না; বরং হালকা, বিসরিত এক ভিত্তি-নাদ দেখি।
  5. চূড়ান্ত চেহারা।
    • বৃহৎ স্কেলে এক পাতলা, মসৃণ পদার্থ-আবরণ থেকে যায়, যা মহাবিস্ফোরণ নিউক্লিওসিন্থেসিস (BBN) ও পরবর্তী গঠন-বিকাশের বীজ।
    • প্রতিপদার্থ আদতেই স্থানে স্থানে বিনষ্ট বা আগে থেকেই গভীর কূপে গ্রাসিত হয়ে “পদার্থ/প্রতি” লেবেলহীন ঘনীভূত শক্তি-ভান্ডারে রূপ নেয়।
    • সেই সময়ের “তাপের খাতা” ও “গোলমালের খাতা” আজকের উত্তপ্ত প্রারম্ভিক অবস্থা ও সূক্ষ্ম বিসরিত পটভূমি-বুনটে প্রতিফলিত।

III. উপমা (সহজ বোধগম্যতা)

হালকা ঢালু তক্তায় জমতে থাকা ক্যারামেল।
ক্যারামেল সর্বত্র একসাথে জমে না: কিনারা আগে শক্ত হয়, তারপর সম্মুখরেখা ভেতরে ধাক্কা দেয়। প্রায় সমান সংখ্যার দুই ধরনের “ক্ষুদে দানা” (পদার্থ/প্রতিপদার্থ) সেই সম্মুখরেখায় অল্প ভিন্ন সাড়া দেয়: একটি ধরন সহজে খাঁজে চেপে যায় (গভীর কূপে পড়ে বিনষ্ট/গ্রাসিত হয়), আরেকটি ঢালের দিকে টেনে নেওয়া হয়, পাতলা হয়ে ছড়িয়ে টিকে থাকে। এই অগ্রগতির সময়ের “চাপ–পিছুপ্রবাহ” যে তাপ ও সূক্ষ্ম রেখাপাত রাখে, সেটাই আজকের তাপ-ভিত্তি ও গোলমাল-ভিত্তি।


IV. প্রচলিত তত্ত্বের সঙ্গে তুলনা (ন্যাস্তার মিল ও বাড়তি সুবিধা)

  1. তিনটি ক্লাসিক উপাদানের স্পষ্ট ম্যাপিং—কোনো বিশেষ নামের ওপর নির্ভর নয়।
    • সংখ্যা-রক্ষণ ভঙ্গ ↔ চরম অবস্থায় তন্তুর পুনর্জোড়া/বদ্ধকরণ/বিচ্ছিন্নতা লুপ-ধরন বদলাতে দেয়।
    • ক্ষুদ্র সমমিতি ভঙ্গ ↔ মোচড়–টেনসার দুর্বল যুগ্মতা অভিমুখ/কাইরালতা অনুসারে সৃষ্টি-টিকে থাকা সামান্য অসম করে।
    • অসমতাবস্থা ↔ খণ্ড-খণ্ড অগ্রসরমান জমাট-মুক্তি সম্মুখরেখাই প্রতিক্রিয়া–পরিবহন পক্ষপাতের মঞ্চ।
  2. অতিরিক্ত মূল্য ও সুবিধা।
    • একীভূত “পদার্থ-ভিত্তিক” দৃষ্টিভঙ্গি: নির্দিষ্ট “নতুন কণা+নতুন পারস্পরিক ক্রিয়া” ধরে নিতে হয় না; মাধ্যম–জ্যামিতি–পরিবহন একত্রে “ক্ষুদ্র কিন্তু পদ্ধতিগত” পক্ষপাত ব্যাখ্যা করে।
    • স্বাভাবিক শক্তি-হিসাব: বিনষ্টন-শক্তি তখনই তাপায়িত হয়ে আংশিক “তরঙ্গে” রূপ নিয়ে টেনসার-বাহিত গোলমাল হয়; কেন দেরিতে আকাশজোড়া বিনষ্টন-প্রদর্শনী নেই—তার স্বচ্ছ ব্যাখ্যা।
    • স্থানিক মসৃণতা: পরিসংখ্যানিক টেনসার মধ্যাকর্ষণ সংগঠিত করিডোর–নোড নেটওয়ার্ক শেষের অতিরিক্ত অংশকে বৃহৎ স্কেলে মসৃণ করে; বড় বড় প্রতিপদার্থ-অঞ্চল ধরতে হয় না।

V. যাচাইযোগ্য পূর্বাভাস ও পরীক্ষার পথ


VI. প্রক্রিয়ার হাতেকলমে খাতা (অপারেটর দৃষ্টিভঙ্গি)


VII. উপসংহার


স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)

স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.

প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/