সূচিপত্র / অধ্যায় 3: বৃহৎমাত্রার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড
I. ঘটনা ও প্রশ্নাবলি
- আকাশে একটি “অস্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা” অঞ্চল:
ম্যাপে দেখা যায় মহাজাগতিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড (CMB)-এ একটি বড় এলাকা পারিপার্শ্বিকের তুলনায় সামান্য ঠান্ডা। আকার স্থিতিশীল, স্কেলও বড়। এটি ছোটখাটো দৈব তরঙ্গায়নের মতো দেখায় না; তাই কেবল “কাকতাল” ব্যাখ্যা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। - উৎস থেকেই ঠান্ডা, নাকি পথে বদলে গেছে?
অগ্রভূমি অপসারণের পর এই ঠান্ডা ভাব প্রায়ই পর্যবেক্ষণ-ফ্রিকোয়েন্সি বদলালেও অপরিবর্তিত থাকে। অর্থাৎ এটি স্থানীয় নির্গমন বা শোষণ-জনিত নয়। তাই দুটি বিকল্প থাকে: সংকেতটি আদতেই ঠান্ডা ছিল, অথবা দৃষ্টিপথে কোথাও তা বদলে গেছে। - বৃহৎ-স্কেল গঠনের যোগসূত্র:
একাধিক স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষণ ইঙ্গিত দেয় সেই দিক বরাবর খুব বিস্তৃত এক “স্বল্প-ঘনত্ব অঞ্চল” থাকতে পারে। যদি সত্যিই বিশাল, নিম্ন-ঘনত্ব ও নিম্ন-টেনসিটির একটি আয়তন পথে থাকে, তবে “পথজনিত প্রভাব” সন্দেহ করা স্বাভাবিক। কিন্তু “কতটা ঠান্ডা, কেন ঠান্ডা, কতখানি ঠান্ডা”—এসব বোঝাতে একটি স্বচ্ছ ভৌত শৃঙ্খল দরকার।
II. ভৌত প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা
- “পথে চলার সময় পুনর্লিখন”, উৎসে কম তাপ নয়:
এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্ব (EFT)-এ আলো হলো শক্তিসাগরে চলা এক ধরনের বিঘ্ন-তরঙ্গপুঞ্জ। প্রাচীন মহাবিশ্ব থেকে আমাদের কাছে পৌঁছতে এটি অসংখ্য গঠন ভেদ করে। যদি টেনসিটি ক্ষেত্র (EFT)—অর্থাৎ পরিবেশের টান-বুনটের মানচিত্র—ফোটন পার হওয়ার সময়ে স্থির থাকে, তবে প্রবেশ ও প্রস্থানজনিত ফ্রিকোয়েন্সি-পরিবর্তন একে অন্যকে খাটিয়ে দেয়; নিট প্রভাব থাকে না। কিন্তু অঞ্চলটি যদি ফোটন অবস্থানকালে বদলাতে থাকে, তবে প্রবেশ-প্রস্থান অসমমিত হয় এবং রঙ-স্বাধীন (অর্থাৎ অনতিবিচ্ছুরিত) এক নিট ফ্রিকোয়েন্সি-স্খলন রয়ে যায়। এটিই বিবর্তনধর্মী পথ-লাল-স্খলন। - তিন ধাপের কারণ-শৃঙ্খল:
- বৃহৎ নিম্ন-টেনসিটি আয়তনে প্রবেশ: তরঙ্গের কার্যকর প্রসারণ মন্থর হয়; ফোটনের ফেজ-ছন্দ দীর্ঘায়িত হয়—ফলে তাপমাত্রা সামান্য “কমে”।
- ভিতরে থাকাকালীন অঞ্চলটি ক্রমে “উত্তোলিত” হয়: নিম্ন-টেনসিটি আয়তন স্থির নয়; মহাজাগতিক কালের সাথে সাথে ধীরে ধীরে অগভীর হয়।
- বেরোনোর সময় “পুষিয়ে দেওয়া” কম পড়ে: প্রান্তে পৌঁছতে পৌঁছতে পরিবেশ বদলে যায়; প্রস্থানের ক্ষতিপূরণ প্রবেশের টানের চেয়ে কম হয়, ফলে নিট শীতল পক্ষপাত থেকে যায়।
এই তিনটি শর্ত একসাথে পূরণ হলে তবেই স্থিতিশীল বিবর্তনধর্মী পথ-লাল-স্খলন তৈরি হয়; দ্বিতীয় ধাপ (অঞ্চলের বিবর্তন) অনুপস্থিত হলে শীতল দাগ দেখা যায় না।
- কেন “বড় ও মৃদু-পরিবর্তনশীল” আয়তন দরকার:
নিট স্খলন নির্ভর করে—ফোটন কতক্ষণ ভিতরে থাকল এবং সেই সময়ে অঞ্চলটি কতটা ও কোন দিকে বদলাল। আয়তন ছোট বা পরিবর্তন সামান্য হলে প্রভাব জমে না; আয়তন অতি বড় বা পরিবর্তন অতিদ্রুত হলে সীমানায় জটিল প্রতিসাম্য গড়ে ওঠে। শীতল দাগের স্পষ্টতা দেখায়—“যথেষ্ট বড়, পরিবর্তন মাঝারি” এই সঠিক সংমিশ্রণ উপস্থিত। - না “লেন্সে অন্ধকার হওয়া”, না “বিক্ষেপে ঠান্ডা হওয়া”:
মহাকর্ষীয় লেন্স প্রধানত পথ ও আগমনের সময় বদলায়, পৃষ্ঠ-উজ্জ্বলতা বজায় রাখে। বিক্ষেপ বা শোষণ হলে রং-নির্ভরতা ও আকৃতির বিকৃতি দেখা দিত। এখানে চিহ্নটি হলো রঙ-স্বাধীন তাপমাত্রা-হ্রাস, যা বস্তুর আড়াল বা মাধ্যমের রং-ছাঁকনি নয়; বরং সময়ের সাথে বদলানো টেনসিটি-ভূদৃশ্যের ইঙ্গিত। - গঠনগত অন্যান্য প্রভাবের ভূমিকা-বণ্টন:
অত্যন্ত বৃহৎ স্বল্প-ঘনত্ব আয়তনে অস্থিতিশীল কণার পরিসংখ্যানগত মহাকর্ষীয় বায়াস দুর্বল হয়—এতে নিম্ন-টেনসিটির পটভূমি তৈরি হয়। কণা-বিলুপ্তিজনিত এলোমেলো বিঘ্ন সীমানায় সূক্ষ্ম নকশা এঁকে প্রান্তকে খানিক মসৃণ করতে পারে। তবে এগুলো “ধারকেটে দেওয়া” মাত্র, মূল কারণ নয়। মূল চালিকা শক্তি হলো—ফোটন পার হওয়ার সময়ে আয়তনের বিবর্তন। - কেন ভিন্ন পথ ভিন্ন ফল দেয়:
একই যুগে নির্গত ফোটন যদি বিবর্তনশীল স্বল্প-ঘনত্ব অঞ্চল এড়িয়ে যায়, প্রায় কোনো পথ-লাল-স্খলন পায় না; আর যারা ভেতর দিয়ে যায়, তারা নিট শীতল পক্ষপাত বহন করে। ফলে একই পটভূমির দিকভেদে তাপমাত্রা বদলায়; “শীতল দাগ” চিহ্নিত করে সেই পথকে, যা বদলমান অঞ্চলের ভিতর দিয়ে গেছে।
III. তুলনামূলক উপমা
গতিবেগ-বদলানো এসকেলেটর: গতি যদি অপরিবর্তিত থাকে, পৌঁছানোর সময় নির্ভর করবে কেবল শুরু ও শেষের উপর। মাঝপথে এসকেলেটর ধীর হলে, শেষদিকে এসে হারানো সময় “পুষিয়ে” নেওয়া যায় না—ফলে দেরিতে পৌঁছানো হয়। শীতল দাগও তেমনি: কোনো “স্টেশন” জন্মগতভাবে ঠান্ডা নয়; মাঝপথের গতিবদল ফেজ-ছন্দ দীর্ঘ করেছে।
IV. প্রচলিত তত্ত্বের সাথে তুলনা
- অভিন্ন অবস্থান—এটি পথজনিত প্রভাব:
মানক মহাকাশবিদ্যা এটিকে পথে থাকা মহাকর্ষীয় সম্ভাবনার সময়-বিবর্তনজনিত তাপমাত্রা-পরিবর্তন বলে। এখানে আমরা বলি—ফোটন পার হওয়ার সময়ে টেনসিটি-ভূদৃশ্যের পুনর্বিন্যাস ঘটে; সেটিও রঙ-স্বাধীন পথ-উৎপন্ন পদ, উৎসের কম তাপ নয়। - পার্থক্য—ভাষা ও গুরুত্বারোপে:
প্রচলিত ভাষ্য জ্যামিতি ও সম্ভাবনা-গণিতে বেশি জোর দেয়; এখানে জোর দেওয়া হয়েছে মাধ্যমের গতিবিদ্যা ও টেনসিটিতে—প্রবেশ-অবস্থান-প্রস্থান-এর অসমতা কীভাবে “বিবর্তন”-কে নিট নিম্নগামী তাপমাত্রায় রূপান্তর করে। পর্যবেক্ষণে দুই দৃষ্টিভঙ্গির সংঘর্ষ নেই; একই মুদ্রার দুই পিঠ মাত্র। - বৃহত্তর ছবির সংযোগ:
এমন “পথে চলার সময়ে পুনর্লিখন” যুক্তি শক্তিশালী মহাকর্ষীয় লেন্সের সময়-বিলম্ব ও ক্ষুদ্র ফ্রিকোয়েন্সি-সমন্বয়েও দেখা যায়। যে পথগুলোতে বিবর্তন ঘটে না, সেখানে কেবল আগমনের সময় বদলায়, তাপমাত্রার ভিত্তি নয়। তাই শীতল দাগ হলো পূর্ণ-আকাশ মানচিত্রে বিবর্তনধর্মী পথ-লাল-স্খলনের সবচেয়ে স্পষ্ট আঙুলের ছাপ।
V. উপসংহার
মহাজাগতিক শীতল দাগ “জন্মগতভাবে ঠান্ডা” নয়। এটি তৈরি হয়েছে কারণ মহাজাগতিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড একটি বৃহৎ, নিম্ন-টেনসিটি ও বিবর্তনশীল আয়তন ভেদ করেছে—প্রবেশে টান নিচের দিকে নামিয়েছে, প্রস্থানে তার পূরণ সম্পূর্ণ হয়নি; তাই রঙ-স্বাধীন এক নিট শীতল পক্ষপাত রয়ে গেছে। এমন উজ্জ্বল ছাপ পেতে তিনটি শর্ত একসাথে দরকার: পথটি যথেষ্ট বড় আয়তন ভেদ করবে, ভিতরে অবস্থানকাল যথেষ্ট দীর্ঘ হবে, এবং সেই সময়ে আয়তনটি সত্যিই বদলাবে। এই স্বচ্ছ ভৌত শৃঙ্খলে শীতল দাগকে বসালে, এটি আর “অদ্ভুত কাকতাল” নয়; বরং বিবর্তনধর্মী পথ-লাল-স্খলনের এক স্পষ্ট সিলমোহর।
স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)
স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.
প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/