সূচিপত্রঅধ্যায় 3: বৃহৎমাত্রার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড

I. ঘটনা ও প্রশ্নাবলি


II. ভৌত প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা

  1. “পথে চলার সময় পুনর্লিখন”, উৎসে কম তাপ নয়:
    এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্ব (EFT)-এ আলো হলো শক্তিসাগরে চলা এক ধরনের বিঘ্ন-তরঙ্গপুঞ্জ। প্রাচীন মহাবিশ্ব থেকে আমাদের কাছে পৌঁছতে এটি অসংখ্য গঠন ভেদ করে। যদি টেনসিটি ক্ষেত্র (EFT)—অর্থাৎ পরিবেশের টান-বুনটের মানচিত্র—ফোটন পার হওয়ার সময়ে স্থির থাকে, তবে প্রবেশ ও প্রস্থানজনিত ফ্রিকোয়েন্সি-পরিবর্তন একে অন্যকে খাটিয়ে দেয়; নিট প্রভাব থাকে না। কিন্তু অঞ্চলটি যদি ফোটন অবস্থানকালে বদলাতে থাকে, তবে প্রবেশ-প্রস্থান অসমমিত হয় এবং রঙ-স্বাধীন (অর্থাৎ অনতিবিচ্ছুরিত) এক নিট ফ্রিকোয়েন্সি-স্খলন রয়ে যায়। এটিই বিবর্তনধর্মী পথ-লাল-স্খলন
  2. তিন ধাপের কারণ-শৃঙ্খল:
  1. কেন “বড় ও মৃদু-পরিবর্তনশীল” আয়তন দরকার:
    নিট স্খলন নির্ভর করে—ফোটন কতক্ষণ ভিতরে থাকল এবং সেই সময়ে অঞ্চলটি কতটা ও কোন দিকে বদলাল। আয়তন ছোট বা পরিবর্তন সামান্য হলে প্রভাব জমে না; আয়তন অতি বড় বা পরিবর্তন অতিদ্রুত হলে সীমানায় জটিল প্রতিসাম্য গড়ে ওঠে। শীতল দাগের স্পষ্টতা দেখায়—“যথেষ্ট বড়, পরিবর্তন মাঝারি” এই সঠিক সংমিশ্রণ উপস্থিত।
  2. না “লেন্সে অন্ধকার হওয়া”, না “বিক্ষেপে ঠান্ডা হওয়া”:
    মহাকর্ষীয় লেন্স প্রধানত পথ ও আগমনের সময় বদলায়, পৃষ্ঠ-উজ্জ্বলতা বজায় রাখে। বিক্ষেপ বা শোষণ হলে রং-নির্ভরতা ও আকৃতির বিকৃতি দেখা দিত। এখানে চিহ্নটি হলো রঙ-স্বাধীন তাপমাত্রা-হ্রাস, যা বস্তুর আড়াল বা মাধ্যমের রং-ছাঁকনি নয়; বরং সময়ের সাথে বদলানো টেনসিটি-ভূদৃশ্যের ইঙ্গিত।
  3. গঠনগত অন্যান্য প্রভাবের ভূমিকা-বণ্টন:
    অত্যন্ত বৃহৎ স্বল্প-ঘনত্ব আয়তনে অস্থিতিশীল কণার পরিসংখ্যানগত মহাকর্ষীয় বায়াস দুর্বল হয়—এতে নিম্ন-টেনসিটির পটভূমি তৈরি হয়। কণা-বিলুপ্তিজনিত এলোমেলো বিঘ্ন সীমানায় সূক্ষ্ম নকশা এঁকে প্রান্তকে খানিক মসৃণ করতে পারে। তবে এগুলো “ধারকেটে দেওয়া” মাত্র, মূল কারণ নয়। মূল চালিকা শক্তি হলো—ফোটন পার হওয়ার সময়ে আয়তনের বিবর্তন।
  4. কেন ভিন্ন পথ ভিন্ন ফল দেয়:
    একই যুগে নির্গত ফোটন যদি বিবর্তনশীল স্বল্প-ঘনত্ব অঞ্চল এড়িয়ে যায়, প্রায় কোনো পথ-লাল-স্খলন পায় না; আর যারা ভেতর দিয়ে যায়, তারা নিট শীতল পক্ষপাত বহন করে। ফলে একই পটভূমির দিকভেদে তাপমাত্রা বদলায়; “শীতল দাগ” চিহ্নিত করে সেই পথকে, যা বদলমান অঞ্চলের ভিতর দিয়ে গেছে।

III. তুলনামূলক উপমা

গতিবেগ-বদলানো এসকেলেটর: গতি যদি অপরিবর্তিত থাকে, পৌঁছানোর সময় নির্ভর করবে কেবল শুরু ও শেষের উপর। মাঝপথে এসকেলেটর ধীর হলে, শেষদিকে এসে হারানো সময় “পুষিয়ে” নেওয়া যায় না—ফলে দেরিতে পৌঁছানো হয়। শীতল দাগও তেমনি: কোনো “স্টেশন” জন্মগতভাবে ঠান্ডা নয়; মাঝপথের গতিবদল ফেজ-ছন্দ দীর্ঘ করেছে।


IV. প্রচলিত তত্ত্বের সাথে তুলনা


V. উপসংহার

মহাজাগতিক শীতল দাগ “জন্মগতভাবে ঠান্ডা” নয়। এটি তৈরি হয়েছে কারণ মহাজাগতিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড একটি বৃহৎ, নিম্ন-টেনসিটি ও বিবর্তনশীল আয়তন ভেদ করেছে—প্রবেশে টান নিচের দিকে নামিয়েছে, প্রস্থানে তার পূরণ সম্পূর্ণ হয়নি; তাই রঙ-স্বাধীন এক নিট শীতল পক্ষপাত রয়ে গেছে। এমন উজ্জ্বল ছাপ পেতে তিনটি শর্ত একসাথে দরকার: পথটি যথেষ্ট বড় আয়তন ভেদ করবে, ভিতরে অবস্থানকাল যথেষ্ট দীর্ঘ হবে, এবং সেই সময়ে আয়তনটি সত্যিই বদলাবে। এই স্বচ্ছ ভৌত শৃঙ্খলে শীতল দাগকে বসালে, এটি আর “অদ্ভুত কাকতাল” নয়; বরং বিবর্তনধর্মী পথ-লাল-স্খলনের এক স্পষ্ট সিলমোহর।


স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)

স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.

প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/