সূচিপত্র / অধ্যায় 1: শক্তি-তন্তু তত্ত্ব
I. এক বাক্যে সারকথা
যেদিকে “খরচ কম” (নির্দেশ-সম্ভাব কম), বস্তু ও সংকেত স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেদিকেই যেতে চায়। টানমাত্রা অসাম্য হলে “শক্তিসাগর” বোনা হয় পথ-শিরা ও অবনমন-বেসিনের মতো: স্থানীয়ভাবে পথ হয় মসৃণ, বাধা কম, “পায়ের তলায়” গতি বেশি; সামগ্রিকভাবে খরচ-মানচিত্রের ঢাল ধরে নিট সরে যাওয়া দেখা যায়—দূর থেকে যেন কোনো অদৃশ্য বল টেনে নিচ্ছে।
উপমা
- পৃষ্ঠটান-গ্রেডিয়েন্ট (মারাঙ্গোনি প্রভাব): “বেশি টানটান” পাশে পৃষ্ঠপ্রবাহের মিলনরেখা/বিন্দু গড়ে; ভাসমান কণা সোজা পথে সেখানেই জড়ো হয়।
- ইলাস্টিক জাল / ঢাক-চামড়ার বেসিন: বহু স্থানে দীর্ঘচাপ জালকে অবনমিত করে; কাচের বল ঢাল বেয়ে স্বাভাবিকভাবে খাদে গড়িয়ে পড়ে।
II. ভৌত প্রক্রিয়া: কেন “বেশি টানটান” ⇒ “বেশি টান”
- মসৃণ চ্যানেল (স্থানীয়)। যেদিকে টানমাত্রা বেশি, সেদিকে স্থানীয় ‘রিলে’ বেশি গুছিয়ে চলে, সমতুল্য ড্যাম্পিং কম; কণার জন্য তা “কম খরচের” পথ, আর তরঙ্গগুচ্ছের জন্য “কম ক্ষয়”–এর রেখা।
- স্থানীয়ভাবে দ্রুত, পুরো পথে সাশ্রয় (রুট-নির্বাচনের মানদণ্ড)। টানমাত্রা বাড়লে পায়ের তলায় গতি বাড়ে, সেই সাথে বেসিন-ভূচিত্রও গড়ে ওঠে। আসল টান-নেতৃত্ব ঠিক হয় পুরো পথের সাশ্রয়ে; দরকারে স্থানীয় দিক একটু বদলে সামগ্রিক সাশ্রয় বাড়ানো হয়।
- অসাম্য ফিডব্যাক (সঞ্চয়ের শর্ত)। “কম খরচ” দিকের ক্ষুদ্র পক্ষপাত টিকে যায় ও বাড়ে কম-ক্ষয় চ্যানেলে; সান্দ্রতা/ঘর্ষণ/বিকিরণ ক্ষয়/ডি-ফেজিং (কণার ক্ষেত্রে) বা “দলবদ্ধতার থ্রেশহোল্ড” (তরঙ্গের ক্ষেত্রে) থাকলে সেই পক্ষপাত জমে দৃশ্যমান নিট সরে যাওয়ায় রূপ নেয়।
- পথ-চিহ্ন (নির্দেশ-সম্ভাবের গ্রেডিয়েন্ট)। টান-দিক ঠিক করে নির্দেশ-সম্ভাবের গ্রেডিয়েন্ট, কেবল টানমাত্রার পরিমাণ নয়। বেশির ভাগ অবস্থায় টানমাত্রা বাড়া শক্তিসাগরকে সাশ্রয়ের শিরা-বেসিনে বোনে; তবে উপাদান/ফ্রিকোয়েন্সি/পোলারাইজেশন/অনৈক্য–নির্ভর বিশেষ যুগ্মতায় দিক উল্টেও যেতে পারে।
III. আপেক্ষিকতার সাথে সম্পর্ক: জ্যামিতির ভাষা বনাম মাধ্যমের ভাষা
- ফোকাস আলাদা। আপেক্ষিকতা জ্যামিতিক জিওডেসিক দিয়ে পথের বক্রতা বলে; এখানে পথনির্দেশ আসে টানমাত্রা-ক্ষেত্র ও খরচ-মানচিত্র থেকে।
- সীমায় মিলে যাওয়া। টানমাত্রা-ক্ষেত্র মসৃণ ও স্থিত থাকলে কক্ষপথ, বক্রতা ও বিলম্ব পর্যবেক্ষণে কাছাকাছি আসে: জ্যামিতির “সবচেয়ে সোজা” পথ ≈ মাধ্যমের “সবচেয়ে সাশ্রয়ী” পথ।
- পার্থক্য শনাক্তকরণ। সূক্ষ্ম টেক্সচার, তাৎক্ষণিক পুনর্বিন্যাস বা দিক-নির্ভরতা থাকলে পথ ও আগমনের সূচি যে ক্ষুদ্র ভিন্নতা দেখায়, তা মাধ্যম-নির্দেশিত–এর সাথে বেশি সাযুজ্যপূর্ণ—এগুলোকে পার্থক্যের পর্যবেক্ষণ-চিহ্ন করা যায়।
IV. চার বলের এক উৎস (ঝলক)
- মহাকর্ষ: ধীরে-বদলানো, বৃহৎ-স্কেলের টানমাত্রা–বেসিন ও ঢাল—সবত্র “ঢালমুখে” টান।
- তড়িৎচৌম্বক: অভিমুখ ও তার সুপারপজিশন; অভিমুখ এক হলে বেশি বিকর্ষণ, বিপরীত হলে বেশি আকর্ষণ; পার্শ্ব-টানে বৃত-ঘূর্ণন—যার সমতুল্য চৌম্বক-ক্ষেত্র ও তড়িৎ-ধারার সঙ্গযাত্রা।
- বলীয় (স্ট্রং): উচ্চ বক্রতা/উচ্চ পাকানো ঘন-বন্ধ লুপ; স্বল্পপথে “যত দূর টানো, তত বেশি টানটান।”
- দুর্বল (উইক): অস্থিতিশীলতার কাছাকাছি থাকা গিঁট-গঠনগুলোর খোলনলচে ও পুনর্বিন্যাসের এক্সিট; স্বল্পপথে বিযুক্ত মুক্তি ও রূপান্তর।
এক বাক্যে: একই টানমাত্রা–নেটওয়ার্ক, স্কেল ও গঠনের ভিন্ন অবস্থায় চার বলের রূপে দৃশ্যমান।
V. সংক্ষেপে
অসম টানমাত্রা শক্তিসাগরকে বানায় মসৃণ চ্যানেল ও সাশ্রয়ী বেসিন: স্থানীয়ভাবে ঠিক হয় পথে ঘর্ষণ কম কি না ও গতি কত; সামগ্রিকভাবে ঠিক হয় কোনদিকে কম খরচ ও নিট সরে যাওয়া জমবে কি না। অণু-স্কেলে দেখা যায় পক্ষপাত-ভিত্তিক স্থানান্তর, বৃহৎ-স্কেলে দেখা যায় “মহাকর্ষীয় ভূচিত্র”。 চার বলকে একই নেটওয়ার্কে রাখলে: মহাকর্ষ = ভূচিত্র, তড়িৎচৌম্বক = অভিমুখ, বলীয় = বন্ধ লুপ, দুর্বল = পুনর্গঠন—বহু চেহারা মিলে দাঁড়ায় পরীক্ষাযোগ্য, স্বচ্ছ টান-নেতৃত্ব নীতি।
স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)
স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.
প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/