সূচিপত্রঅধ্যায় 4: কৃষ্ণগহ্বর

I. কোনো ব্ল্যাক হোল কি পুরো একটি ছায়াপথ গিলে ফেলবে?

না। ব্ল্যাক হোল যতই “ক্ষুধার্ত” হোক, জোগান সীমিত এবং গেলার কার্যকারিতা কম। অধিকাংশ পদার্থ উত্তপ্ত হয়ে ডিস্ক-বাতাসজেট দ্বারা বাইরে ছিটকে যায়, গিলে ফেলা হয় না।


II. আমাদের সৌরজগৎ কি ব্ল্যাক হোলের প্রভাব অনুভব করবে?

অত্যন্ত অসম্ভব। সাধারণ আন্তঃনাক্ষত্রিক দূরত্বে টানার ক্ষমতা সূর্যের মাধ্যাকর্ষণের তুলনায় অনেক দুর্বল; জোয়ার-ভাটার প্রভাব উপেক্ষণীয়।


III. ব্ল্যাক হোলের কাছে এগোলে কী ঘটে?

সময় প্রকটভাবে ধীর হয়, আলোর পথ তীব্রভাবে বেঁকে যায়, আর জোয়ার-ভাটার পার্থক্য বস্তুকে টেনে লম্বা বা চেপে দিতে পারে। খুব কাছে গেলে ফেরা যায় না, কারণ পালানোর গতি স্থানীয় সংকেত-প্রসার সীমা ছাড়িয়ে যায়।


IV. তথ্য-প্যারাডক্স ও “ফায়ারওয়াল” বিতর্ককে কীভাবে দেখা উচিত?

সীমানা মসৃণ রেখা নয়; এটি এক ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসময় আবরণ, যেখানে শক্তি দরজা-নিয়ন্ত্রিত ভাবে বেরোয়। তথ্যের চিহ্ন পরিসংখ্যানগতভাবে রয়ে যায় ও পাতলা হয়; কৃত্রিম, অনমনীয় “ফায়ারওয়াল” ধরনা দরকার নেই।


V. ব্ল্যাক হোল দিয়ে কি সময়-ভ্রমণ বা ওয়ার্মহোল পেরোনো সম্ভব?

না। কোথাওই স্থানীয় সংকেত-প্রসার সীমা অতিক্রম করা যায় না, আর স্থিতিশীল, চলাচলযোগ্য ওয়ার্মহোল এই ব্যাখ্যা-পথের বাস্তব তালিকায় নেই।


VI. ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ (EHT)–এর ছবি আসলে কী দেখায়?

ছায়ার ধারে প্রধান উজ্জ্বল বলয়, আরও ম্লান উপ-বলয়, সময়জুড়ে একটু বেশি উজ্জ্বল একটি খণ্ড, এবং সেই সঙ্গে থাকা মেরুকরণ-ব্যান্ড দেখা যায়।


VII. ব্ল্যাক হোলের “শব্দ” ও প্রতিধ্বনি কী?

এগুলো শব্দতরঙ্গ নয়। সময়-ক্ষেত্রে দেখা যায় যৌথ সোপান ও প্রতিধ্বনি-খোল: শুরুতে শক্ত, পরে ক্ষীয়মান ঢেউয়ের দল, যার বিরতি ধীরে ধীরে বাড়ে।


VIII. মিলনে উৎপন্ন মহাকর্ষীয় তরঙ্গের পর কী ঘটে?

নিকট-দিগন্ত অঞ্চলের আকৃতি নতুন করে গঠিত হয়। স্বল্পস্থায়ী আবরণ-প্রতিধ্বনি ও শক্তির হিসাবের পুনর্বিন্যাস দেখা যায়; জেটডিস্ক-বাতাসের মধ্যে নেতৃত্ব বদলাতে পারে।


IX. ব্ল্যাক হোল থেকে কি শক্তি তোলা যায়?

তত্ত্বে সম্ভব, বাস্তবে কঠিন। প্রকৃতি আগেই জেটডিস্ক-বাতাস দিয়ে শক্তি বাইরে পাঠায়। মানুষ কাছাকাছি পৌঁছোতে যেমন কঠিন, তেমনি সেই বিপুল শক্তি বহন করাও দুষ্কর।


X. হকিং বিকিরণ কি দেখা যায়?

জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ভরের ব্ল্যাক হোলে তাপমাত্রা এতই কম যে বর্তমান যন্ত্রে ধরা পড়ে না। কেবল খুব হালকা প্রাথমিক ব্ল্যাক হোল থাকলে তা উল্লেখযোগ্য হতে পারে।


XI. ব্ল্যাক হোল এত বড় হয় কীভাবে?

উচ্চ-সরবরাহ যুগে অক্ষীয় ছিদ্রপথ দীর্ঘস্থায়ী থাকে, প্রান্ত-বেল্ট প্রসারিত হয়, আর পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ বদান্যতার সঙ্গে পাশাপাশি চলে। সময়ের সঙ্গে ভর ধারাবাহিকভাবে বাড়ে।


XII. ব্ল্যাক হোল ও ছায়াপথ কীভাবে সহ-বিবর্তিত হয়?

ডিস্ক-বাতাস গ্যাসকে গরম ও পরিষ্কার করে; জেট দিশানির্দেশে “চাষ” করে। ফলে আয়োজক ছায়াপথে নক্ষত্র-গঠনের হার নিয়ন্ত্রিত হয়; ছায়াপথের গঠন আর ব্ল্যাক হোলের শক্তি-উৎপাদন পরস্পরকে গড়ে তোলে।


XIII. সিনেমায় দেখানো ব্ল্যাক হোল কতটা নিখুঁত?

কিছু দৃশ্যে শক্ত আলোক-বাঁক ও সময়-প্রসারণ ভালোভাবে ফুটে ওঠে। তবে অনেক দৃশ্য বলয় ও মেরুকরণের সূক্ষ্মতা উপেক্ষা করে এবং জেটডিস্ক-বাতাসের মধ্যে শক্তি-বণ্টনের জটিলতা সহজ করে দেখায়।


XIV. পারিবারিক দূরবীন দিয়ে কি ব্ল্যাক হোল “দেখা” যায়?

ব্ল্যাক হোলের নিজস্ব বস্তুটি দেখা যায় না। তবে আয়োজক ছায়াপথ ও বৃহৎ-স্কেলের জেট চিত্রিত করা যায়। জনসাধারণের উন্মুক্ত তথ্য অনুসরণ করে সময়-ক্ষেত্রে এক ধরনের “শ্রবণ-পরীক্ষা”ও করা সম্ভব।


স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)

স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.

প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/