সূচিপত্র / অধ্যায় 4: কৃষ্ণগহ্বর
কৃষ্ণগহ্বরের কেন্দ্র শূন্য নয়; সেখানে অত্যন্ত ঘন তন্তুর এক “সমুদ্র” নিরন্তর দুলে ও ফুটতে থাকে। চারদিকে কর্তন–ক্ষেত্র এবং পুনঃসংযোগের দীপ্ত বিন্দু দেখা যায়। তন্তুগুলি বারবার জড়িয়ে স্থির গঠনে স্থিত হতে চায়, কিন্তু বেশিরভাগই টিকে না; অল্পক্ষণের জন্য অস্থিতিশীল কণার রূপ নিয়ে ভেঙে পড়ে। প্রতিটি ভাঙন থেকে ছড়িয়ে পড়া বিস্তৃত-বান্ডের পটভূমি বিঘ্ন কেন্দ্রকে অবিরত নাড়া দেয় এবং এই “ফুটন” বজায় রাখে—এটি একদিকে ফল, অন্যদিকে জ্বালানি।
I. মূল চিত্র: ঘন স্যুপ, কর্তন, ও দীপ্ত বিন্দু
- ঘন স্যুপ: তন্তুর প্রাবল্যে প্রবাহে একই সঙ্গে আঠালোভাব ও স্থিতিস্থাপকতা দেখা যায়; সমগ্র মাধ্যম ভারী, ঢেউখেলানো “স্যুপ–সদৃশ” রূপ নেয়।
- কর্তন–ক্ষেত্র: পাশে–পাশে পাতলা স্তর ভিন্ন গতিতে সরে, দীর্ঘায়িত কর্তন–অঞ্চল গড়ে তোলে; এখানে টান জমে এবং গঠন সহজে “পুনর্লিখিত” হয়।
- পুনঃসংযোগের দীপ্ত বিন্দু: সংকট–সীমার কাছে তন্তুর সংযোগ দ্রুত নতুন পথ নেয়; প্রতিবার পুনঃসংযোগে স্থানীয় টান তরঙ্গ–পুঞ্জ, উত্তাপ বা বড় স্কেলের প্রবাহে মুক্তি পায়।
II. স্তরভিত্তিক সংগঠন: ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ—তিন মাত্রা
- ক্ষুদ্রমাত্রা: তন্তু–খণ্ড ও ছোট লুপ
খণ্ডগুলি জোট বেঁধে ক্ষুদ্র জড়োয়াতে (লুপ) বন্ধ হতে চায়। কেন্দ্রের চরম চাপ–টান ও ঘন বিঘ্নের কারণে অধিকাংশই মুহূর্তেই অস্থিতিশীল হয়ে যায়; অল্পক্ষণ “অস্থিতিশীল কণা” রূপে থেকে ভেঙে পড়ে। - মধ্যমাত্রা: কর্তন–অনুবর্তী দাগ
ক্ষুদ্র ঢেউ কর্তনের টানে একদিকে টেনে সোজা হয়; সারি–সারি দাগ তৈরি হয়। দাগগুলির ফাঁকে পাতলা স্খলন–পৃষ্ঠ থাকে, যেখানে টান বারবার সঞ্চয় ও মুক্তি পায়। - বৃহৎমাত্রা: উত্তাল একক
বহু দাগ মিলিত হয়ে বৃহৎ আয়তনের উত্তাল একক গঠন করে। এগুলি ধীরে ধীরে সরে, একত্রিত হয় ও পৃথক হয়; কেন্দ্রের সামগ্রিক ছন্দ এবং শক্তি–বণ্টন এদের দিয়েই নির্ধারিত হয়।
তিন মাত্রা আলাদা নয়। ক্ষুদ্রমাত্রার ব্যর্থ জড়োয়া মধ্যমাত্রায় বস্তু ও বিঘ্ন জোগায়; মধ্যমাত্রার দাগগুলি বৃহৎমাত্রার উত্তালতার “কঙ্কাল” গড়ে; আর বৃহৎমাত্রার প্রত্যাবর্তী স্রোত ও সঙ্কোচন শক্তি আবার ক্ষুদ্র স্কেলে ঠেলে দেয়—এভাবেই এক পূর্ণ চক্র সম্পন্ন হয়।
III. অস্থিতিশীল কণার ভূমিকা: জন্ম, ভাঙন, ও পুনঃকোলাহল
- নিরবচ্ছিন্ন জন্ম
উচ্চ ঘনত্ব ও উচ্চ টান তন্তু–খণ্ডকে বারবার জড়োয়ায়ে ঠেলে দেয়। অনেক নবীন জড়োয়া শুরুতেই সীমার কাছাকাছি পৌঁছে; অল্পক্ষণ “অস্থিতিশীল কণা” হিসেবেই টিকে থাকে। - দ্রুত ভাঙন
বাইরের সংকোচন বাড়তেই থাকে, অভ্যন্তরীণ সমন্বয় টানের চাপে ধীর হয়, আর চারপাশে অসংগত–ফেজের তরঙ্গ–পুঞ্জ ভরপুর—এই তিনে মিলেই দ্রুত ধ্বংস ঘটে। - পটভূমি–বিঘ্নের সঞ্চার
ভাঙনের ফলে কম–প্রশস্তি কিন্তু বিস্তৃত–ব্যান্ডের বিঘ্ন ছিটকে পড়ে; কেন্দ্র তা শোষণ করে বাড়ায় এবং নতুন নাড়ার উৎসে পরিণত করে। - ধনাত্মক প্রতিপুষ্টি
যত বেশি অস্থিতিশীল কণা, তত বেশি ভাঙন–উৎপন্ন বিঘ্ন; বিঘ্ন বাড়লে নবীন জড়োয়া আরও সহজে ভেঙে পড়ে। এভাবেই ফুটন নিজে নিজে টিকে থাকে।
সারমর্ম: কেন্দ্র “জড়োয়া–শূন্য” নয়; বরং “জড়োয়া লাগাতার চেষ্টা হয় এবং লাগাতার ভেঙে যায়।” অস্থিতিশীল কণার ভাঙন গৌণ শব্দ নয়, বরং ফুটনের প্রধান জ্বালানিগুলির একটি।
IV. পদার্থের চক্র: তন্তু টানা, তন্তু ফেরত, ও গঠন–পুনর্বিন্যাস
- তন্তু টানা: স্থানীয় টান–উত্থান ও জ্যামিতিক সন্নিবেশ সমুদ্রের উপাদানকে টেনে বেশি শৃঙ্খলিত তন্তু–খণ্ডে রূপ দেয়।
- তন্তু ফেরত: সহন–সীমা ছাড়ালে তন্তু–খণ্ড ঢিলে হয়ে আবার বেশি বিসৃত সমুদ্র–উপাদানে মিশে যায়।
- পুনর্বিন্যাস: কর্তন ও পুনঃসংযোগ তন্তুর সংযুক্তি–পথ বারবার বদলে দেয়—নতুন চ্যানেল খোলে, পুরনোটি বন্ধ হয়; সামগ্রিক আকৃতি সময়ের সঙ্গে ধীরে সরে।
- দ্বৈত সহাবস্থান: সর্বদা দুই উপাদান থাকে—একটি তুলনামূলকভাবে সমমুখী, উচ্চ–সহাবদ্ধ প্রবাহ যা “কঙ্কাল”ের মতো; আরেকটি অনিয়মিত, বিস্তৃত–ব্যান্ডের পটভূমি–বিঘ্ন যা “উত্তাপ”ের মতো। উভয়ে পাল্টাপাল্টি নিয়ন্ত্রণে থেকে তৎক্ষণাৎ রূপান্তর–সক্ষমতা নির্ধারণ করে।
V. শক্তির হিসাব: সঞ্চয়, মুক্তি, ও সঞ্চালনের বন্ধ চক্র
- সঞ্চয়: বক্রতা ও পাক তন্তুর জ্যামিতিতে টানকে “আকৃতি–শক্তি” হিসেবে আটকে রাখে। কর্তন–অনুবর্তী দাগ স্প্রিংয়ের মতো—যত টানা হয় তত টান বাড়ে।
- মুক্তি: পুনঃসংযোগ এই আকৃতি–শক্তি খুলে তরঙ্গ–পুঞ্জ ও উত্তাপে রূপান্তর করে। ব্যর্থ জড়োয়ার ভাঙনও শক্তি ছড়ায়, পটভূমি–বিঘ্ন পুনরায় ভরে।
- সঞ্চালন: শক্তি স্কেল বদলে চলাচল করে—ক্ষুদ্র তরঙ্গ–পুঞ্জ দাগে মিশে যায়; বৃহৎ প্রত্যাবর্তী স্রোত শক্তিকে আবার ক্ষুদ্র স্কেলে ঠেলে দেয়।
- বন্ধ চক্র: সঞ্চয়–মুক্তি–সঞ্চালন বারবার ঘটে; বাহিরের ধারাবাহিক ইনপুট ছাড়াও কেন্দ্র সক্রিয় থাকতে পারে। বাইরের ইনপুট এই চক্র শক্তিশালী করতে পারে, তবে তা অপরিহার্য নয়।
VI. সময়গত বৈশিষ্ট্য: বিরতিযুক্ততা, স্মৃতি, ও পুনরুদ্ধার
- বিরতিযুক্ততা: পুনঃসংযোগ ও ভাঙন সমান গতিতে নয়; তারা গুচ্ছ–গুচ্ছ বিস্ফোরণে দেখা দেয়।
- স্মৃতি: প্রবল ঘটনার পর কিছু সময় পটভূমি–বিঘ্ন উঁচু থাকে, ফলে নতুন জড়োয়া সহজে ব্যর্থ হয়।
- পুনরুদ্ধার: বাইরের ইনপুট কমলে কর্তন–অনুবর্তী দাগ ধীরে ধীরে কম–টানের অবস্থায় ফেরে, পটভূমি–বিঘ্ন নেমে আসে, যদিও সাধারণত শূন্যে নামে না।
VII. সংক্ষেপে
কেন্দ্র একটি স্বনির্ভর “নাড়া–যন্ত্র”ের মতো কাজ করে। তন্তুতে জড়োয়ার চেষ্টা চলতেই থাকে এবং ভাঙনও চলতেই থাকে। কর্তন–দাগ ও পুনঃসংযোগের দীপ্ত বিন্দু নানা স্কেলে পালা করে সক্রিয় থাকে, যার ফলে টান সঞ্চিত, মুক্ত, ও সঞ্চালিত হয়ে চক্র গঠন করে। অস্থিতিশীল কণার ধারাবাহিক ভাঙন অবিরত পটভূমি–বিঘ্ন জোগায়—এটি যেমন ফুটনের ফল, তেমনি তার স্থায়িত্বের কারণ।
স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)
স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.
প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/