সূচিপত্র / অধ্যায় 1: শক্তি-তন্তু তত্ত্ব
ভূমিকা
কণার পরিচিত গুণাবলি—ভর, আধান, বিদ্যুৎক্ষেত্র/চৌম্বকক্ষেত্র, বিদ্যুৎধারা, স্পিন/কোণীয় ভরবেগ, আয়ু ও শক্তিস্তর—“শক্তি-সূতা—শক্তির সাগর” দৃষ্টিতে বাইরের লেবেল নয়। এগুলো একযোগে উদ্ভূত হয় সূতার জ্যামিতি (বাঁক, লুপ-বদ্ধতা, ফেজ-লকড তাল) এবং পরিবেশের টানমাত্রা-সংগঠন (মাত্রা, দিক, গড়ান/গ্রেডিয়েন্ট ও সহ-সঙ্গতি) থেকে।
I. ভর: ভেতরে দৃঢ়তা + বাইরে আকার-দেওয়া
- জড়তা: লুপ যত কষা এবং ফেজ-লকড তাল যত মজবুত, ভিতরের সংগঠন তত স্থির থাকে; বাহ্যিক বল গতি বদলাতে চাইলে ভিতরের বেশি জ্যামিতি ও টানমাত্রা পুনর্লিখতে হয়—তাই “ঠেলা” কঠিন।
- আকর্ষণ/মহাকর্ষ: একই গঠন চারপাশের টানমাত্রা-মানচিত্র বদলে নিজের দিকে মৃদু ঢাল গড়ে; পথচারী বস্তু তাতে ধরে ও সমবেত হয়।
- দূরক্ষেত্রে সমদিশতা: বৃত্তীয় ফেজ-লুপ, মাধ্যমের ইলাসটিক প্রত্যাবর্তন এবং সময়ের গড় (হালকা দুলুনি/প্রিসেশন গ্রহণযোগ্য; ৩৬০°-এর “কঠিন” ঘূর্ণন নয়) মিলে দূরে কেবল সমদিশ টানমাত্রা-আকর্ষণ রেখে দেয়।
মূল কথা: ভরের মাত্রা হলো রেখা-ঘনত্ব + জ্যামিতিক বাধা + টানমাত্রা-সংগঠন-এর যৌথ পরিমাপ; “জড়তা ≈ ভিতরের দৃঢ়তা; আকর্ষণ ≈ বাইরের আকার-দেওয়ার ক্ষমতা”—একই প্রক্রিয়ার দুই দিক।
II. আধান → বিদ্যুৎক্ষেত্র: “ত্রিজ্যাগত টানমাত্রা-নির্দেশের পক্ষপাত” দিয়ে মেরু নির্ধারণ
- নিকটক্ষেত্র উৎস: সুতার প্রস্থ সসীম; যদি ছেদে ফেজ-লকড কুণ্ডলী-প্রবাহ ভিতরে-জোরাল/বাইরে-দুর্বল হয়, নিকটক্ষেত্রে ভিতরের দিকে ত্রিজ্যাগত টানমাত্রা-নির্দেশ নকশা খোদাই হয়; উল্টো (বাইরে-জোরাল/ভিতরে-দুর্বল) হলে বাইরের দিকে নকশা গঠে।
- মেরু সংজ্ঞা: ভিতরের দিকে নির্দেশ = ঋণাত্মক, বাইরের দিকে নির্দেশ = ধনাত্মক (দর্শকের কোণে নির্ভর নয়)।
- বিদ্যুৎক্ষেত্রের রূপ: বিদ্যুৎক্ষেত্র হলো ঐ ত্রিজ্যাগত নির্দেশ-নকশার স্থানীয় প্রসারণ; বহু উৎসের সুপারপজিশন আকর্ষণ/বিকর্ষণ ও সমগ্র বলের দিক ঠিক করে।
ইঙ্গিত: শক্তি-সূতা তত্ত্ব (EFT) আধান-উৎস ব্যাখ্যায় এককভাবে “ত্রিজ্যাগত টানমাত্রা-নির্দেশ/পক্ষপাত” ধারণা ব্যবহার করে; “ঘূর্ণি/ভর্টেক্স” ভাষা ব্যবহার করে না।
III. আধান → চৌম্বকক্ষেত্র: নির্দেশ-নকশা টেনে পাশ সরালে “বৃত্তীয় রোল-ব্যাক”
- গতি বা অভ্যন্তরীণ আবর্ত: আধানবাহী গঠন সমবেগে সরে গেলে, নিকটক্ষেত্রের ত্রিজ্যাগত নির্দেশ-নকশা বেগের দিকে আড়াআড়ি টানা খায়; ধারাবাহিকতা রক্ষায় নকশাটি পথ ঘিরে লুপ-বদ্ধ হয়ে বৃত্তীয় রোল-ব্যাক গঠন করে—এটাই চৌম্বকক্ষেত্রের জ্যামিতি।
- স্পিন-জনিত চৌম্বক মুহূর্ত: সমবেগ না থাকলেও, যদি ভেতরে স্বজাত ফেজ-লকড আবর্ত থাকে, নিকটক্ষেত্রে স্থানীয় বৃত্তীয় রোল-ব্যাক সংগঠিত হয়—ফলে স্বকীয় চৌম্বক মুহূর্ত দেখা যায়।
- মাত্রা ও দিক: নির্ধারিত হয় আধানের মেরু, গতির দিক (বা আবর্তের হাতিত্ব) এবং অ্যালাইনমেন্টের মাত্রা মিলিয়ে (প্রচলিত ডান-হাত নিয়ম-সঙ্গত)।
মূল কথা: স্থির আধানের ক্ষেত্রে ত্রিজ্যাগত নকশা প্রাধান্য পায়; স্থিরধারা/সমবেগ আধান নিরবচ্ছিন্ন পাশ-টান দিয়ে স্থিতিশীল বৃত্তীয় রোল-ব্যাক তোলে; স্পিন নিকটক্ষেত্রে স্থানীয় রোল-ব্যাক দাঁড় করাতে পারে।
IV. আধান থেকে বিদ্যুৎধারা: সম্ভাব, অ্যালাইনমেন্ট, চ্যানেল-রিফ্রেশ
- সম্ভাব-পার্থক্য (টানমাত্রা-পার্থক্য) তৈরি: দুই প্রান্তে ভিন্ন ত্রিজ্যাগত নির্দেশ-অবস্থা বানিয়ে চ্যানেল বরাবর চালিকা-বল (ভোল্টেজ) জোগানো।
- চ্যানেল বিছানো (দিক-মিল): চলমান বাহক ও ধ্রুবণ-যোগ্য ইউনিট ক্ষুদ্র নির্দেশ-খণ্ড ক্রমে জোড়া দিয়ে একটানা দিক-শৃঙ্খল বানায় (মাধ্যমে ক্ষেত্ররেখার সঞ্চার-পথ)।
- প্রবাহ ত্বরান্বিত (চ্যানেল রিফ্রেশ): বাহকের সরে-যাওয়া + ফাঁক ভরাট চলতে থাকে; ফলে চ্যানেল নিরবচ্ছিন্নভাবে সতেজ হয়—ম্যাক্রো চেহারা বিদ্যুৎধারা।
- আবেশ: গঠিত বৃত্তীয় রোল-ব্যাক-এর “স্থিতাবস্থা ধরে রাখার জড়তা” থাকে; হঠাৎ ধারা বন্ধ হলে ব্যবস্থা ক্ষণিক প্রতিরোধ দেখায়।
- ধারণক্ষমতা: দুই প্রান্তের দিক-পার্থক্য গঠনের জ্যামিতিতে সঞ্চিত হতে পারে (যেমন প্লেটের মাঝে); এটি মুক্ত করা যায় এমন ক্ষেত্র-শক্তি।
- প্রতিরোধ: দিক-শৃঙ্খল নিখুঁত নয়; স্থানীয় পুনর্বিন্যাস/অবিচ্ছিন্নতা শৃঙ্খলাকে উষ্মায় রূপান্তর করে।
মূল কথা: ভোল্টেজ = টানমাত্রা-পার্থক্য; বিদ্যুৎক্ষেত্র = দিক-নির্দেশ; বিদ্যুৎধারা = চ্যানেল-রিফ্রেশ; চৌম্বকক্ষেত্র = অবিচল পাশ-টানের ফল বৃত্তীয় রোল-ব্যাক।
V. “গুণাবলি—গঠন” অতি-সংক্ষিপ্ত সারণি
- ভর: ভিতরের কষা-বদ্ধতা + ফেজ-লক → জড়তা; বাইরে মৃদু ঢাল গড়া → আকর্ষণ; দূরক্ষেত্রে সমদিশতা আসে সময়ের গড় থেকে।
- আধান: নিকটক্ষেত্রে ত্রিজ্যাগত টানমাত্রা-নির্দেশের পক্ষপাত; ভিতরে-মুখী = ঋণাত্মক, বাইরে-মুখী = ধনাত্মক।
- বিদ্যুৎক্ষেত্র: ত্রিজ্যাগত নির্দেশ-নকশার স্থানীয় প্রসারণ ও সুপারপজিশন।
- চৌম্বকক্ষেত্র: গতি/স্পিনে টানা নির্দেশ-নকশা থেকে বৃত্তীয় রোল-ব্যাক।
- বিদ্যুৎধারা: সম্ভাবে চালিত অ্যালাইন্ড চ্যানেলের ক্রমাগত রিফ্রেশ; সহজাতভাবে থাকে রোল-ব্যাক (আবেশ), শক্তি সঞ্চয় (ধারণক্ষমতা) ও ক্ষয় (প্রতিরোধ)।
- স্পিন/কোণীয় ভরবেগ: অভ্যন্তরীণ ফেজ-লকড আবর্ত ও ছেদের কুণ্ডলী-জ্যামিতির যুগল প্রভাবে স্বকীয় চৌম্বক মুহূর্ত ও নির্বাচক কপলিং-ছাপ জন্মায়।
- আয়ু/শক্তিস্তর: স্থিতি-থ্রেশহোল্ড, জ্যামিতিক রেজোন্যান্স, টানমাত্রা-সহ-সঙ্গতি-উইন্ডো মিলে মান নির্ধারণ; আরও কষা/দ্রুত অভ্যন্তরীণ মোড → উচ্চতর শক্তিস্তর ও ভিন্ন আয়ু-স্তর।
VI. সংক্ষেপে
- ভর শুধু “ঠেলা-কঠিন” নয়; এটি চারপাশের শক্তি-সাগরে নিজের দিকে ঢালও গড়ে; দূরক্ষেত্রে সমদিশতা আসে ফেজ-লুপ + প্রত্যাবর্তন + সময়ের গড় থেকে।
- আধান ও বিদ্যুৎক্ষেত্র উদ্ভূত ত্রিজ্যাগত টানমাত্রা-নির্দেশের পক্ষপাত ও তার প্রসারণ থেকে।
- চৌম্বকক্ষেত্র হলো পথ ঘিরে বৃত্তীয় রোল-ব্যাক, যা নির্দেশ-নকশা পাশ-টানা হলে গড়ে।
- বিদ্যুৎধারা আসলে দিক-নির্ধারিত চ্যানেলের ধারাবাহিক রিফ্রেশ-প্রক্রিয়া, তাই স্বভাবতই আবেশ, ধারণক্ষমতা ও প্রতিরোধ-এর ম্যাক্রো চেহারা সঙ্গী হয়ে থাকে।
ফলে ভর, আধান, বিদ্যুৎক্ষেত্র, চৌম্বকক্ষেত্র, বিদ্যুৎধারা, স্পিন প্রভৃতি—সবই একই ভিত্তি “সূতার জ্যামিতি + টানমাত্রা-সংগঠন”-এ একসূত্রে, দৃষ্টিগ্রাহ্যভাবে ও তুলনাযোগ্যভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)
স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.
প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/