সূচিপত্র / অধ্যায় 1: শক্তি-তন্তু তত্ত্ব
“বুনট” বলতে বোঝায়, শক্তির সমুদ্রে দিক-সংগততা ও বৈদিশিকতা কীভাবে সাজানো থাকে—কোন কোন দিক বেশি সারিবদ্ধ হয়, কোথায় বলয়াকার ঘূর্ণি গড়ে ওঠে, এবং স্বল্প-ক্ষয়ী পথ সৃষ্টি হয় কি না। বুনট “কতটা” (ঘনত্ব) কিংবা “কতটা টান” (তান) প্রশ্নের উত্তর নয়; বরং দেখায় ব্যবস্থা কীভাবে গড়ে ওঠে এবং কোন কোন দিক-শৃঙ্খল ধরে চললে গতি সবচেয়ে মসৃণ ও স্থিতিশীল থাকে। দৃশ্যত এটি সেই রূপ, যাকে আমরা সাধারনত “ক্ষেত্র” বলি: কেন্দ্রাভিমুখ পক্ষপাত বিদ্যুৎ-সদৃশ আচরণ দেয়, আর বলয়াকার ঘূর্ণি চুম্বক-সদৃশ আচরণ দেখায়; দুটিই প্রায়ই একসাথে দেখা যায়।
I. স্তরভিত্তিক সংজ্ঞা (তিন স্তরেই যথেষ্ট)
- পটভূমির বুনট: বৃহৎ অঞ্চলে সামগ্রিক দিক-প্রবাহ ও সমতা। এখান থেকেই বোঝা যায় প্রধান অক্ষ আছে কি না, এবং নির্দিষ্ট দিক-যোজনে পক্ষপাত রয়েছে কি না।
- নিকট-ক্ষেত্রের বুনট: কণা, যন্ত্র বা জ্যোতিষ্কের চারপাশে স্থানীয় সারিবদ্ধতা ও ঘূর্ণি। এটি ধ্রুবকত্ব, চুম্বকীয় ঘূর্ণন-আবর্ত (মোমেন্ট), শোষণ/নিঃসরণে নির্বাচনীতা এবং আশপাশে পথ “রাউটিং” নির্ধারণ করে।
- চ্যানেল-বুনট: প্রধান অক্ষ বরাবর দানার মালার মতো গাঁথা, সু-সারিবদ্ধ ও স্বল্প-ক্ষয়ী সরু ফালা (দেখুন টেনসর করিডর তরঙ্গনালি (TCW))। এই গঠন দূর-পাল্লার নির্দেশিত পরিবহন, কোলিমেশন এবং মোড-নির্বাচন সম্ভব করে। পরবর্তীতে শুধু টেনসর করিডর তরঙ্গনালি বলা হবে।
II. ঘনত্ব ও তানের সঙ্গে কাজ-বণ্টন (সবার আলাদা ভূমিকা)
- ঘনত্ব: “উপাদান” ও ধারণক্ষমতা দেয়—কী আছে এবং কত কাজ করা যাবে।
- তান: ঢাল ও গতির ঊর্ধ্বসীমা ঠিক করে—কোথায় চলা সহজ, কত দ্রুত যাওয়া যায়।
- বুনট: দিক-শৃঙ্খল ও ঘূর্ণি গড়ে তোলে—কোন পথ সবচেয়ে মসৃণ, এবং তরঙ্গনালি/কোলিমেটেড রশ্মি গড়ে উঠতে পারে কি না।
চারটি পরিচিত যুগল:
- উচ্চ তান + শক্ত বুনট: টানটান ও সুশৃঙ্খল; বিস্তার দ্রুত ও প্রবল নির্দেশিত; তরঙ্গনালি ও কোলিমেশন সহজে হয়।
- উচ্চ তান + দুর্বল বুনট: গতি-সীমা উঁচু কিন্তু নির্দেশিতা দুর্বল; দ্রুত হলেও ছড়িয়ে পড়ে।
- নিম্ন তান + শক্ত বুনট: পথ স্পষ্ট কিন্তু তাল মন্দ; ধীর ও স্থিতিশীল দিক-নির্দেশ।
- নিম্ন তান + দুর্বল বুনট: না দ্রুত, না নির্দেশিত; বিস্তার প্রাধান্য পায়।
III. কেন বুনট গুরুত্বপূর্ণ (চারটি নিশ্চিত প্রভাব)
- নির্দেশিত পরিবহন: বুনট শক্ত হলে সংকেত ও শক্তি সারিবদ্ধ শৃঙ্খল ধরে চলতে পছন্দ করে—ক্ষয় ও ঘুরপথ কমে।
- মোড-নির্বাচন: সীমানা ও জ্যামিতি স্ব-স্থিতিশীল সারিবদ্ধতা–ঘূর্ণির ছক ছেঁকে নেয়; ফলে পরিষ্কার বর্ণরেখা, স্থিতিশীল তরণি (ফ্রিকোয়েন্সি) ও নির্দিষ্ট রুট দেখা যায়।
- যোজন-পছন্দ: সারিবদ্ধতার মাত্রা ও ঘূর্ণির জোর নির্ধারণ করে কে সহজে শোষণ/নিঃসরণ/রূপান্তর করবে; স্পষ্ট মেরুকরণ ও দিক-নির্বাচনীতা প্রকাশ পায়।
- কোলিমেশন ও তরঙ্গনালন: সারিবদ্ধ শৃঙ্খল ফালায় মিললে এবং পরিবেশ বোঝা বহন করেও তা ধরে রাখলে জেট, পালস ও দূর-পরিবহনের জন্য সোজা, সরু ও দ্রুত চ্যানেল তৈরি হয়।
IV. কীভাবে দেখা যাবে (পরিমাপক সূচক)
- মেরুকরণ ও প্রধান অক্ষ: মেরুকরণ-ডিগ্রি বাড়া এবং অক্ষ স্থিত থাকা—কষা সারিবদ্ধতার লক্ষণ।
- রশ্মি/তরঙ্গনালির চিহ্ন: দূরের বিকিরণ সরু দাগে দেখা যায়; পুনঃকোলিমেশনের “কোমর” বারবার ফিরে আসে; মোড স্থিত ও পুনরুৎপাদনযোগ্য।
- ঘূর্ণির আঙুলছাপ: নিকট-ক্ষেত্রে বন্ধ দিক-গঠন ও “অক্ষ ঘিরে” স্থায়ী ছক—পুনরাবৃত্ত চুম্বক-সদৃশ ও টর্ক-সদৃশ প্রভাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
- রঙ-নিরপেক্ষ সহ-স্থানান্তর: মাধ্যমের বিচ্ছুরণ বাদ দেওয়ার পরও একাধিক ব্যান্ড একই পথে একসঙ্গে বাঁকে বা দেরি করে—এটি রঙ-নির্বাচী শোষণ নয়, জ্যামিতি ও বুনট-নির্দেশের প্রমাণ।
- নিয়ন্ত্রণযোগ্যতা ও স্মৃতি: সীমানা/বহিঃক্ষেত্র বদলালে দিক-সমূহ দ্রুত পুনরায় সাজে; অবস্থা ফিরলে আগের চিহ্নে ফিরে আসে—উল্টোনো যায় এমন হাইস্টেরেসিস-সহ বুনট-স্মৃতি।
V. মুখ্য গুণাবলি (পাঠকের কাজে লাগার মতো ভাষায়)
- মেরুকরণ-শক্তি: সারিবদ্ধতা কত কষা ও স্থিত; যত বেশি, নির্দেশিতা তত ভালো ও মোড তত স্বচ্ছ।
- প্রধান অক্ষ ও বৈদিশিকতা: “সেরা” দিক আছে কি না; অক্ষ সময়/পরিবেশে ধীরে সরে যায় কি না।
- ঘূর্ণির জোর: স্থিত বলয়াকার সংগঠন আছে কি না; জোর বেশি হলে চুম্বক-সদৃশ প্রভাব ও স্ব-স্থিতিশীল আবর্ত সহজে ঘটে।
- সংযোগিতা ও স্তরায়ন: দিক-শৃঙ্খল বিভিন্ন স্কেল জুড়ে লাগাতার ফালা বানাতে পারে কি না; “মেরুদণ্ড–আবরণ” ধরন গড়ে ওঠে কি না।
- সীমা-দোরগোড়া ও স্থিতি-জানালা: “হাওয়ার সঙ্গে চলা” অবস্থা থেকে স্ব-স্থিতিশীল দিক-নির্দেশে উত্তরণ; দোরগোড়া পেরোলেই কোলিমেশন সহজ হয়।
- সহ-পর্যায়তার মাত্রা: দিক-শৃঙ্খলার শৃঙ্খলা কত দূর ও কতক্ষণ টিকে; মাত্রা বড় হলে হস্তক্ষেপ ও সহক্রিয়া স্পষ্টতর।
- পুনর্গঠনের গতি: উদ্দীপনার পরে বুনট কত দ্রুত শৃঙ্খলিত/অশৃঙ্খলিত হয়; “অন–অফ” সময়গত আচরণ নির্ধারণ করে।
- তানের সঙ্গে যোজন: বেশি তান কি দিকগুলোকে সহজে “চিরুনি” করে; শক্ত যোজনে চ্যানেল স্থিত হয় ও ক্ষয় কমে।
VI. সংক্ষেপে (তিনটি মূল কথা)
- বুনট “কতটা” বা “কতটা টান” নয়, “কেমন করে সারি বাঁধে”—তার ব্যাখ্যা।
- ঢাল নির্ধারণ করে তান, দিক নির্ধারণ করে বুনট: তান ঢাল ও গতির ছাদ নির্ধারণ করে; বুনট পথকে কার্যকর দিক-শৃঙ্খলা ও ঘূর্ণিতে রূপান্তরিত করে।
- ক্ষেত্রের চেহারাই বুনটের ভাষা: কেন্দ্রাভিমুখ পক্ষপাত বিদ্যুৎ-সদৃশ, বলয়াকার ঘূর্ণি চুম্বক-সদৃশ; শক্ত বুনট মেরুকরণ, মোড-গঠন ও তরঙ্গনালনের আচরণে পরিষ্কার ছাপ রেখে যায়।
স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)
স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.
প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/