সূচিপত্র / শক্তি-সূতা তত্ত্ব নিয়ে জনপ্রিয় ব্যাখ্যা
লাল সরণ সবসময় প্রসারণের সরাসরি প্রমাণ নয়। যদি আলো উৎস থেকেই তুলনায় বেশি লাল হয়ে জন্মায়, তাহলে ব্রহ্মাণ্ড আদৌ প্রসারিত নাও হতে পারে এবং একটি একমাত্রিক মহাবিস্ফোরণ অনুমানও দরকার নাও হতে পারে। এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্ব (EFT) ব্রহ্মাণ্ডকে “শক্তির মহাসাগর”-এর স্বাভাবিক বিবর্তনের ফল হিসেবে দেখে; কোনো প্রাথমিক বিস্ফোরণ ধরতে হয় না। ২,০০০টি তুলনামূলক মূল্যায়নে: এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্ব ৮৮.৫; আপেক্ষিকতাবাদ ৭৯.৮।
I. আমরা কি সত্যি সত্যি “প্রসারিত” ব্রহ্মাণ্ড দেখেছি
দূরবীক্ষণ আমাদের তিনটি বিষয় দেখায়:
- যত দূরে, তত লাল: গ্যালাক্সির স্পেকট্রাল রেখা দীর্ঘতর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের দিকে সরে যায়।
- দূরত্ব বাড়ার সাথে মোটের ওপর লাল সরণও বাড়ে।
- রঙভেদে পক্ষপাত প্রায় নেই: লাল ও নীল—দুটিই যেন একই অনুপাতে “মন্থর”।
ট্রেন দূরে গেলে সিটির স্বর নিচে নামে—এটাই ডপলার প্রভাব। প্রচলিত ব্যাখ্যায় বলা হয়: স্থান-কাঠামো টান পড়ে বাড়ে, ফলে আলোর তরঙ্গ “লম্বা” হয় ও লাল লাগে। এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্ব ভিন্ন পাঠ প্রস্তাব করে: ছন্দ/টেম্পো মন্থর হয়। যদি আলো জন্মক্ষণেই ধীর “মেট্রোনোমে” নির্গত হয়, তবে একই লাল সরণের উপাত্ত থেকে ভিন্ন এক মহাজাগতিক কাহিনি পাওয়া যায়।
II. মহাজাগতিক লাল সরণের বিকল্প পাঠ
শূন্যতা পুরোপুরি ফাঁকা নয়, বরং এক শক্তির মহাসাগর—এভাবে ভাবি। এই মহাসাগরে কোথাও অঞ্চল বেশি “টানটান”, কোথাও “শিথিল”। যে অঞ্চলে টান বেশি, সেখানে সব প্রক্রিয়ার ছন্দ মন্থর হয়। এমন মাধ্যমে আলোর যাত্রা প্রসারণ-সদৃশ বাহ্যিকতা সৃষ্টি করতে পারে।
তিন ধাপে স্কেল/ধরা-ছাড়ার ভাবনা:
- উৎসে: বেশি টানটান অঞ্চল থেকে নির্গত ফোটন জন্মগতভাবেই লাল।
- পথে: টান–শিথিল–আবার টান অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে ছন্দ ধীরে ধীরে নতুন করে ক্যালিব্রেট হয়।
- পাঠে: গ্রাহক-পার্শ্বের “মেট্রোনোম” আলাদা হলে মাপা লালও আলাদা হয়।
এই তিনটি যোগফলে লাল সরণ ঘটে; কিন্তু স্থান সত্যিই বড় হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
III. ছন্দ মন্থর হলে কেন “আরও লাল” দেখা যায়
বেশি টানটান অঞ্চলে (অর্থাৎ টান সম্ভাব বেশি গভীর হলে) তিনটি বিষয় একসাথে ঘটে—
- অভ্যন্তরীণ ছন্দ বদলায়
ইলেকট্রন কোনো ক্ষুদে গোলক নয় যা নিউক্লিয়াস ঘুরে; বরং শক্তির মহাসাগরে একটি ক্ষুদ্র ঘূর্ণায়মান বৃত্ত। এ বৃত্তের সঞ্চালন—ইলেকট্রনের “ভিতরের ঘড়ি”—পরিবেশ টেনে মন্থর করে। হালকা চাপা হুলাহুপের মতো: ঘোরে, কিন্তু ধীরে। - “মঞ্চ”-এর সুর বদলায়
নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরীণ বৃত্তাকার গঠনও মন্থর হয়; ফলে নিউক্লিয়াস-ঘেঁষা নিকট-ক্ষেত্রের নকশা—মঞ্চসঙ্গীতের মতো—“নৃত্যশিল্পী”র টেম্পোর সাথে নিচে নামে। - শক্তিস্তর সরে যায়
ইলেকট্রনের ভিতরের ঘড়ি ও নিকট-ক্ষেত্রের নকশা মিলেই শক্তিস্তর-ভেদ নির্ধারণ করে; সেখানেই নির্গমন ফ্রিকোয়েন্সি ঠিক হয়। যখন “নৃত্যশিল্পী” ও “মঞ্চ” একই ধীর ছন্দে আসে, একই স্পেকট্রাল রেখা উৎস থেকেই লাল হয়ে থাকে। পরে আলো “টেনে লম্বা” করা হয় না; উৎসের ঘড়িটাই ধীর।
মর্মকথা: প্রাথমিক ব্রহ্মাণ্ড ছিল উচ্চ ঘনত্ব ও উচ্চ টানে; সামগ্রিক ছন্দ ধীর ছিল, তাই নির্গত স্পেকট্রা গড়ে বেশি লাল। লাল সরণকে তাই ব্রহ্মাণ্ডের টান-ইতিহাসের দিনলিপি হিসেবে পড়া যায়।
IV. “বিস্ফোরণ” অনিবার্য নয়: সাতটি পর্যবেক্ষণ—নতুন করে পড়া
- মহাজাগতিক মাইক্রোতরঙ্গ পটভূমি (CMB)
দৃশ্যমানতা: আকাশ-জোড়া শক্তি–ফ্রিকোয়েন্সি বক্ররেখা প্রায় ২.৭ K তাপমাত্রার কৃষ্ণবস্তুর স্পেকট্রার সাথে প্রায় মিলে যায় ও অত্যন্ত সমদিকীয়।
এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্বের ব্যাখ্যা: প্রাথমিক কালে টানটান মহাসাগরে—জোরে নাড়া দেওয়া সুপের মতো—শক্তি-বিনিময় দ্রুত ও সমতলকরণ দক্ষ; তাই প্রায়-কৃষ্ণবস্তু স্পেকট্রা ও প্রায়-সমবণ্টিত পটভূমি সাহজিকভাবেই থেকে যায়; “সবখানে সমান করতে” সর্বব্যাপী প্রসারণ মানতে হয় না। - CMB–এর ধ্বনি-চূড়া
দৃশ্যমানতা: তাপমাত্রা/মেরুকরণের শক্তি-বর্ণালিতে নিয়মিত “চূড়া–খাত” শৃঙ্খল; তাপ–মেরু ক্রস উপাদান কোনো কোনো কৌণিক স্কেলে সমফেজ/বিপরীতফেজ।
এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্বের ব্যাখ্যা: এগুলো ইলাস্টিক মোডের সংরক্ষিত ছন্দ। উচ্চ টান একটি যৌথ মেট্রোনোম দেয়; পরের পরিসংখ্যান কেবল সেই সংরক্ষিত ছন্দ পড়ছে। - হালকা মৌলের প্রাচুর্য
দৃশ্যমানতা: হিলিয়াম, ডিউটেরিয়াম, লিথিয়াম প্রভৃতির অনুপাত সরু সীমায় এবং বহু পদ্ধতিতে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্বের ব্যাখ্যা: শীতল হতে হতে মহাসাগর ধারাবাহিক “সময়–তাপমাত্রা জানালা” পেরোয়—যেন টাইমার একে একে অন হয়। প্রতিটি নিউক্লীয় বিক্রিয়া নিজ জানালায় স্বাভাবিকভাবে ঘটে; ফলে হালকা মৌলের “রেসিপি” তৈরি হয়। - বড়-মাত্রার গঠন
দৃশ্যমানতা: গ্যালাক্সি ছড়িয়ে নয়; দেয়াল/পাত হয়ে জোড়া লাগে, নোড-এ গুচ্ছায়, মাঝে শূন্যতা—ত্রিমাত্রিক মহাজাগতিক জাল।
এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্বের ব্যাখ্যা: শীতলতার পর বেঁচে থাকা সামান্য “টান–শিথিল” বৈপরীত্য মহাকর্ষের ধনাত্মক প্রতিপ্রভাবে বাড়ে: আগে পাত, তারপর ফিলামেন্ট, শেষে নোড—এভাবেই জাল খোদাই হয়। - ব্যারিয়ন ধ্বনিতরঙ্গ দোলন (BAO)
দৃশ্যমানতা: গ্যালাক্সি-জোড়া দূরত্বের পরিসংখ্যানে প্রায় ১৫০ Mpc-এ একটি ছোট “উঁচুতা”—বারবার ধরা পড়ে, যেন পাটিগণিতের দাগ।
এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্বের ব্যাখ্যা: এটিকে প্রাথমিক ইলাস্টিক মোডের সংরক্ষিত স্কেল হিসেবে পড়ি। একক টান-মেট্রোনোম এই স্কেল দীর্ঘকাল টিকিয়ে রাখে; “প্রসারিত মেট্রিকের দাগ” মানা বাধ্যতামূলক নয়। - টাইপ Ia সুপারনোভার আলোক-বক্ররেখা
দৃশ্যমানতা: নিকট ও দূর সুপারনোভা মিলিয়ে দেখলে দূরের বক্ররেখা সম্পূর্ণটাই চওড়া/মন্থর—একই সুর ধীর টেম্পোতে বাজানোর মতো।
এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্বের ব্যাখ্যা: স্থানীয় টান সম্ভাব বিস্ফোরণ এলাকার সব “ঘড়ি” একসাথে ধীর করে (রসায়ন, প্লাজমা পরিবহন, বিকিরণ পরিবহন)। পথের ধীর ক্যালিব্রেশন ও গ্রাহকের পাঠমান যোগ হয়ে বক্ররেখা সমান অনুপাতে প্রসারিত হয়। - টোলম্যান পৃষ্ঠ-দ্যুতিমাত্রা পরীক্ষা
দৃশ্যমানতা: একই ধরনের গ্যালাক্সি (কৌণিক আকার সমন্বয়ের পর) তুলনায় দূরের দল একক ক্ষেত্রফল–সময় অনুযায়ী ক্ষীয়মান; এবং এই ক্ষীয়মানতা লাল সরণের সাথে পদ্ধতিগতভাবে বাড়ে।
এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্বের ব্যাখ্যা: টান-ফ্রেমে তিনটি প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই যোগ হয়—(১) প্রতিটি ফোটনের শক্তি কম (অর্থাৎ বেশি লাল), (২) প্রক্রিয়া মন্থর—একক সময়ে কম ফোটন পৌঁছায়, (৩) চিত্র গঠনে জ্যামিতিক দ্বৈততা। আলাদা করে “মেট্রিক প্রসারণ” ধরা জরুরি নয়।
উপসংহার: রায় দেবে কেবল উপাত্ত
প্রশ্নটি “সত্য–মিথ্যা” নয়; বরং একক ব্যাখ্যার দাবির প্রশ্ন। প্রসারণ ও প্রাথমিক বিস্ফোরণ—একমাত্র গল্প নয়। আমরা ল্যাম্বডা–শীতল অদৃশ্য বস্তু মডেল (ΛCDM) অস্বীকার করি না; বরং টান-ভিত্তিক ক্যালিব্রেশনের একটি পরীক্ষাযোগ্য দ্বিতীয় পথ পেশ করি।
লক্ষ্য: কম অনুমানে বেশি ঘটনা ব্যাখ্যা করা।
আরও পড়ুন: energyfilament.org (সংক্ষিপ্ত লিংক: 1.tt)
সমর্থন
আমরা স্ব–অর্থায়িত একটি দল। মহাবিশ্ব–অনুসন্ধান আমাদের শখ নয়; এটি ব্যক্তিগত লক্ষ্য। অনুগ্রহ করে অনুসরণ করুন ও লেখাটি ভাগ করুন—আপনার একবারের শেয়ার–ই এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্ব–ভিত্তিক এই নতুন পদার্থবিদ্যার বিকাশে বড় পার্থক্য আনতে পারে।
স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)
স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.
প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/