সূচিপত্র / শক্তি-সূতা তত্ত্ব নিয়ে জনপ্রিয় ব্যাখ্যা
একটি জাইরোস্কোপ না ঘুরলে পড়ে যায়; হুলাহুপ না ঘুরলে নেমে যায়। ব্ল্যাক হোলেও অনুরূপ ঘটনা ঘটে: যেসব কণা পর্যাপ্ত দ্রুত ঘুরতে পারে না, সেগুলো চাপে গুঁড়ো হয়ে যায়—অবশিষ্ট থাকে ফুটতে থাকা এক “শক্তির স্যুপ”, যা প্রাথমিক মহাবিশ্বের “ফুটন্ত সমুদ্র”-এর কথা মনে করায়। এখানে আমরা রন্ধ্রযুক্ত পৃষ্ঠবিশিষ্ট এক ব্ল্যাক হোল ও তার চার-স্তরীয় ভেতরের ছক উপস্থাপন করছি।
I. মাধ্যাকর্ষণ আসলে কী
- আপেক্ষিকতার তত্ত্ব:
মাধ্যাকর্ষণকে বলা হয় স্থান-কালের বক্রতা; তবে ঠিক “কোন জিনিসটি বেঁকে যায়”—তা স্পষ্ট করা হয় না। - শক্তি-ফিলামেন্ট তত্ত্ব (EFT):
“শূন্যতা” আসলে শক্তির এক সমুদ্র। ব্ল্যাক হোল এই সমুদ্রকে টেনে আরও টানটান করে; সবকিছু সেই ঢাল বেয়ে সরে আসে—এটাই আমরা মাধ্যাকর্ষণ হিসেবে দেখি। সংক্ষেপে, আপেক্ষিকতা গণিতের ভাষা দেয়, আর শক্তি-ফিলামেন্ট তত্ত্ব মাধ্যমের “বস্তুকাঠামো” যোগ করে।
II. ঘটনাক্ষিতিজ বনাম “অতি-ক্ষুদ্র রন্ধ্র”
- আপেক্ষিকতার দৃষ্টিতে:
ঘটনাক্ষিতিজ এক মসৃণ কারণ-পরিণতি সীমানা; বাইরে থেকে “রন্ধ্রহীন” দেখায়, এবং কী দিয়ে এটি গঠিত—তা আলোচনা করা হয় না। - শক্তি-ফিলামেন্ট তত্ত্বের দৃষ্টিতে:
ঘটনাক্ষিতিজ হলো অবিচ্ছিন্ন এক মাধ্যমের পাতলা আস্তরণ; কাছে গেলে টান বাড়ে, কিন্তু কোনো গাণিতিক বিচ্ছেদ নেই। কোথাও স্থানীয়ভাবে ফিলামেন্ট-গঠন বা ক্ষুদ্র বিকৃতি ঘটলেই মুহূর্তিক “অতি-ক্ষুদ্র রন্ধ্র” খুলে যায় (যেন বুদবুদের পাতলা ঝিল্লিতে হালকা ছোঁয়া—মুহূর্তে ছোট্ট ছিদ্র)। সেই ফাঁক দিয়ে শক্তি বেরিয়ে পড়ে। অবস্থানটি হলো: ঘটনাক্ষিতিজ একেবারে মসৃণ নয়—এটি শ্বাস নেয়, খানিক রুক্ষ, এবং ক্ষণস্থায়ী ক্ষুদ্র রন্ধ্রে ভরা। তাই ব্ল্যাক হোল ধীরে ধীরে বাষ্পীভূত হয়; তথ্যও এসব রন্ধ্র দিয়ে বেরোতে পারে। “কোয়ান্টাম টানেলিং”-কে এই রন্ধ্র-পথে পলায়নেরই এক রূপ ধরা যেতে পারে।
III. ব্ল্যাক হোলের চার স্তর (শক্তি-ফিলামেন্ট তত্ত্ব অনুযায়ী)
- ঘটনাক্ষিতিজ: অতিপাতলা, সঙ্কোচ-প্রসারণশীল, রুক্ষ ও ক্ষণস্থায়ী ক্ষুদ্র রন্ধ্রে ভরা।
- সংক্রমণ-পট্টি: কণা প্রচণ্ডভাবে চাপে সংকুচিত হয়; শক্তি সঞ্চিত হয়ে পরে নির্গত হয়।
- আভ্যন্তরীণ সংকট-অঞ্চল: তাৎপর্যপূর্ণ পুরুত্ব রয়েছে; এখানে থেকেই কণার গুঁড়ো হওয়া শুরু।
- কেন্দ্রক: ফুটতে থাকা শক্তির “স্যুপ”।
IV. ভেতরটা কেন “স্যুপ” হয়ে যায়
- সহজ উপমা: জাইরোস্কোপ ও হুলাহুপকে দাঁড় করিয়ে রাখতে ঘূর্ণনই ভরসা; কণার স্থিতিশীলতাও তার ভেতরের আবর্তনের ওপর নির্ভর করে।
- অ্যাটমিক ঘড়ির ফল: মাধ্যাকর্ষণ যত বেশি, স্থানীয় “সময়ের তাল” তত ধীর।
- শক্তি-ফিলামেন্ট তত্ত্বে কণার চিত্র: কণা হলো এক “শক্তির রিং” যাতে অভ্যন্তরীণ সঞ্চালন আছে; এই সঞ্চালন কণাকে চাপে ভাঙা থেকে বাঁচায়। প্রবল মাধ্যাকর্ষণ সঞ্চালনকে শ্লথ করে; গতি যখন স্থিতি-সীমার নিচে নামে, কণা আর টেকে না → গুঁড়ো হয় → শক্তির সমুদ্রে ফিরে মিশে যায়। (দেখুন: “চিত্রে বোঝা: ইলেকট্রন বিন্দু নয়, বরং ‘রিং’।”)
- কেন্দ্রকের দৃশ্য: অসংখ্য কণা একসঙ্গে সীমার নিচে নেমে দ্রবীভূত হয়; সমুদ্র চরম টানে টানটান হয়ে অবিরাম কাঁপে—এক “শক্তির স্যুপ” যেন ফুটছে: বড় সঞ্চালন (অক্রমণ/সংগ্রহ), ক্ষুদ্র ঘূর্ণি (শিয়ার/অস্থিরতা), আর মাঝেমাঝে “বুদবুদ” (স্বল্পস্থায়ী ঝলক/জেটের পূর্বাভাস)।
- শক্তি-ফিলামেন্ট তত্ত্বের অবস্থান: আমাদের মতে মহাবিশ্বের আদিতে ছিল “ফুটতে থাকা ফিলামেন্ট-সমুদ্র”; যা মহাজাগতিক মাইক্রোওয়েভ পটভূমি (CMB), হালকা মৌলের প্রাচুর্য, কসমিক রেডশিফট ও বৃহৎ-স্কেল গঠনের ব্যাখ্যা স্বাভাবিকভাবে দেয় এবং প্রচলিত বিগ-ব্যাং চিত্রনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। যদিও প্রাথমিক “ফুটন্ত সমুদ্র” ও ব্ল্যাক হোলের কেন্দ্রকের “ফুটন্ত স্যুপ”-এর ভৌত অবস্থা খুব সাদৃশ্যপূর্ণ, তবু আমরা বলি না যে “মহাবিশ্ব কোনো ব্ল্যাক হোল থেকে জন্মেছে”।
V. জেট: হাঁড়ির ঢাকায় “বাষ্প-ভালভ” যেমন
যখন ভেতরের “হাঁড়ি” অতিরিক্ত টানটান হয়, শক্তি সবচেয়ে কম-খরচের দিক বেছে নিয়ে একত্রিত হয় ও বাইরে ছুটে যায়—এটাই জেট। কোন দিকে যাবে, তা স্থির করে সমুদ্রের “বিন্যাস ও টান”; টান যত বেশি, শক্তিশালী জেটের সম্ভাবনা তত বেশি। “ইলেকট্রন হলো রিং”—এই আলোচনায় যে বৃহৎ-স্কেল “বুনন/টেক্সচার”-এর কথা বলা হয়েছে, জেট সেগুলোকেই প্রবাহ-স্রোতের করিডর হিসেবে ব্যবহার করে; আমরা একে বলি টান-করিডর তরঙ্গ-নির্দেশক।
VI. পূর্বাভাস
- পূর্বাভাস: শক্তিশালী ঘটনা (অক্রমণ/মিলন)-র পর উজ্জ্বলতা/পুরুত্বে “প্রতিধ্বনি-ধাপ” দেখা যাবে—আগে জোরাল, পরে মন্দ; আর ধাপের ব্যবধান ক্রমশ বাড়তে থাকবে। জেটের প্রবলতা প্রায়শই কেন্দ্রকের কাছাকাছি “টান-সূচক”-এর (ধ্রুবণ/বর্ণরূপ থেকে যৌথভাবে নির্ণীত) সঙ্গে সহচরিতায় বদলায়।
- সহজ মন্ত্র: উদ্দীপক ঘটনা → আগে “শোর” তারপর “বল” → সহচর সংকেত থাকে (অতিপ্রাক্-তাপীয়/ধ্রুবিত) → প্রান্তভাগে কুঁচকে ওঠা/ঘূর্ণি।
- খণ্ডন-মানদণ্ড: দীর্ঘমেয়াদি পরিসংখ্যানে যদি দেখা যায় “বল আগে, শোর পরে” বা প্রবল বল থাকা সত্ত্বেও সহচর সংকেত/প্রান্ত-কাঁপন অনুপস্থিত—তবে তা শক্তি-ফিলামেন্ট তত্ত্বের বিরুদ্ধে প্রমাণ ধরা হবে। (এই পূর্বাভাসের ভিত্তিগত প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা আছে “চ্যালেঞ্জ: গড় মাধ্যাকর্ষণ বনাম অদৃশ্য পদার্থ” প্রবন্ধে।)
উপসংহার ও প্রবেশদ্বার
- এক বাক্যে: ব্ল্যাক হোল “বিন্দুর পুরাণ” নয়; এটি “স্যুপের পদার্থবিদ্যা”—টান, ঘূর্ণন ও অতি-ক্ষুদ্র রন্ধ্র-পথে পলায়নে গঠিত এক শক্তি-প্রকৌশল।
- আরও বিশদ নির্ণয়: ওয়েবসাইটের ৪-তম অধ্যায় দেখুন।
- আমাদের লক্ষ্য: কম অনুমানে বেশি ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা, এবং শুরু থেকেই খণ্ডনযোগ্য পূর্বাভাস দেওয়া।
- ওয়েবসাইট: energyfilament.org (সংক্ষিপ্ত ডোমেইন: 1.tt )
সমর্থন
আমরা স্ব–অর্থায়িত একটি দল। মহাবিশ্ব–অনুসন্ধান আমাদের শখ নয়; এটি ব্যক্তিগত লক্ষ্য। অনুগ্রহ করে অনুসরণ করুন ও লেখাটি ভাগ করুন—আপনার একবারের শেয়ার–ই এনার্জি ফিলামেন্ট তত্ত্ব–ভিত্তিক এই নতুন পদার্থবিদ্যার বিকাশে বড় পার্থক্য আনতে পারে।
স্বত্বাধিকার ও লাইসেন্স (CC BY 4.0)
স্বত্বাধিকার: অন্যথা উল্লেখ না থাকলে, “Energy Filament Theory” (পাঠ্য, সারণি, চিত্র, প্রতীক ও সূত্র)‑এর স্বত্বাধিকার লেখক “Guanglin Tu”‑এর।
লাইসেন্স: এই কাজটি Creative Commons Attribution 4.0 International (CC BY 4.0) লাইসেন্সের অধীনে বিতরণ করা হয়। যথাযথ স্বীকৃতির শর্তে বাণিজ্যিক বা অ‑বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কপি, পুনঃবিতরণ, অংশবিশেষ ব্যবহার, রূপান্তর ও পুনঃপ্রকাশ করা যাবে।
প্রস্তাবিত স্বীকৃতি বিন্যাস: লেখক: “Guanglin Tu”; কর্ম: “Energy Filament Theory”; উৎস: energyfilament.org; লাইসেন্স: CC BY 4.0.
প্রথম প্রকাশ: 2025-11-11|বর্তমান সংস্করণ:v5.1
লাইসেন্স লিংক:https://creativecommons.org/licenses/by/4.0/